AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Water Problem: পুরসভাতেই জলকষ্ট! কাউন্সিলর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

বাধ্য হয়েই এলাকার বাসিন্দারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থেকে ফাটা পাইপের জল ধরছেন পানীয় জল হিসেবে। যে কোনও সময়ে ওই জল থেকে রোগ ছড়াতে পারে শঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

Water Problem: পুরসভাতেই জলকষ্ট! কাউন্সিলর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা
জলের সমস্যা
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 7:13 AM
Share

বর্ধমান: মাস চারেক ধরে পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন খোদ বর্ধমান পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হারাধনপল্লীর বাসিন্দারা। বার বার স্থানীয় কাউন্সিলর সহ পুরসভায় জানিয়েও মেলেনি কোনও রকম সুরাহা মেলেনি অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বাধ্য হয়েই এলাকার বাসিন্দারা ফেটে থাকা পাইপ থেকেই পানীয় জল সংগ্রহ করছেন। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। চার লেনের পরিবর্তে ৬ লেনের রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। রাস্তার দু’ধারে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি হওয়ায় পুরসভার নলবাহিত পানীয় জলের পাইপ কাটা পড়ে। এতেই বিপত্তি ঘটে। এলাকায় থাকা একটি টিউবওয়েলও বহুদিন অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় পানীয় জলের সংকট আরও বেড়েছে। বাধ্য হয়েই এলাকার বাসিন্দারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থেকে ফাটা পাইপের জল ধরছেন পানীয় জল হিসেবে। যে কোনও সময়ে ওই জল থেকে রোগ ছড়াতে পারে শঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর নাড়ু ভগত বলেছেন, “জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করতে গিয়ে পানীয় জলের পাইপ বার বার ফেটে যাচ্ছে। তাই জলের সমস্যা হয়েছে।” তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে টাকা খরচ করে এলাকায় একটি টিউবওয়েল বসিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। হ্যান্ড পাম্প খারাপের বিষয়টি পুরসভাকে জানানো হয়েছে। এক দুই দিনের মধ্যে এই সমস্যা মিটে যাবে বলেও দাবি তাঁর।

হারাধনপল্লীর বাসিন্দা দিলীপ মাহাত বলেছেন, “বহুদিন ধরে এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একটি মাত্র টিউবওয়েল ছিল। তাও দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকি এ ব্যাপারে তাঁরা বারবার পুরসভাকে জানালেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।” বাসিন্দা চম্পা মাহাত বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। জল কিনে খেতে পারব না। বাচ্চারা ওই ভাবে জল ধরতে গিয়ে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

এই বিষয়ে বিজেপি নেতা সুধীররঞ্জন সাউ বলেছেন, “স্কুল থাকতে টিচার নেই। তেমনই কল থাকতে জল নেই। তৃণমূল নেতারা টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে। তাই সবাই টাকা তুলতে ব্যস্ত। নেতা বা কাউন্সিলররা ওয়ার্ডের সমস্যা বা কাজ দেখে না। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দারা জল কিনছেন। অথচ কাউন্সিলরের দেখা নেই এলাকায়।”