AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Remal Effect: রাতভর খেয়াঘাটেই আটকে, ঘাট মালিকই খিচুরি খাওয়ালেন জনা ৫০ যাত্রীকে

Daihat: কেউ ট্রেনে করে এসে খেয়াতে ওপারে যাবেন। কেউ আবার সপরিবারে ঘুরে বাড়ি ফিরছিলেন। সকলেরই ঠিকানা এখন দাঁইহাট দেওয়ানগঞ্জ ফেরিঘাট। সামনে টিন বাঁশের ছাউনি দেওয়া ঘরে খেয়া চালুর অপেক্ষায় তাঁরা। সকলেই নদিয়া জেলায় যাবেন।

Remal Effect: রাতভর খেয়াঘাটেই আটকে, ঘাট মালিকই খিচুরি খাওয়ালেন জনা ৫০ যাত্রীকে
ঘাটে অপেক্ষায় যাত্রীরা।Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 27, 2024 | 5:44 PM
Share

কাটোয়া: রেমালের সতর্কবার্তা পেয়ে রবিবার বিভিন্ন ফেরিঘাটগুলি বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। সোমবারও বিভিন্ন জেলার জলঘাট বন্ধ। কারণ একটাই ভারী বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, দুর্যোগ। আর এই ফেরিঘাট বন্ধ থাকার কারণেই রবিবার থেকে দাঁইহাট দেওয়ানগঞ্জ ফেরিঘাটে আটকে ৫০ জন যাত্রী।

কেউ ট্রেনে করে এসে খেয়াতে ওপারে যাবেন। কেউ আবার সপরিবারে ঘুরে বাড়ি ফিরছিলেন। সকলেরই ঠিকানা এখন দাঁইহাট দেওয়ানগঞ্জ ফেরিঘাট। সামনে টিন বাঁশের ছাউনি দেওয়া ঘরে খেয়া চালুর অপেক্ষায় তাঁরা। সকলেই নদিয়া জেলায় যাবেন।

রবিবার বিকাল থেকে ঘাটে অপেক্ষারত কালীগঞ্জ থানা এলাকার শাজাহান শেখ বলেন, “আমি উদয়পুর এক্সপ্রেসে এসেছি। ট্রেন ১০ ঘণ্টা লেট থাকায় সময়ে আসতে পারিনি। এসে দেখছি ঘাটে খেয়া পারাপার বন্ধ। আমরা অনুরোধ করেছিলাম ঘাট খুলে দিতে। কিন্তু ওনারা বললেন থানার অনুমতি নেই তাই পারবেন না। সেই থেকে এখানে বসে। ঘাট মালিক খিচুড়ির ব্যবস্থা করেছেন। সেটাই খেয়েছি।” অন্যদিকে আলমগির শেখ নামে আরেক যাত্রী বলেন, “ঝড়বৃষ্টিতে আটকে পড়েছি। বর্ধমান গিয়েছিলাম। নদিয়া যাব। খেয়া বন্ধ, তাই যেতে পারছি না।”

এই ঘাটে নৌকা চালান শঙ্কর মণ্ডল। শঙ্কর মাঝি জানান, এমন হাওয়া নৌকা চালানো যায় নাকি? মাঝ নদীতে বিপদ হলে তখন? তাঁর কথায়, “জোর করলেই হয় না। নৌকা ডুবলে তখন ঘাট মালিক আর মাঝিদেরই সকলে বলবে। ঘাট মালিক জিনিস এনে দিয়েছেন। আমরা রান্নাবান্না করে ৫০-৬০ জনের খাবারেরও ব্যবস্থা করেছি।” দুর্যোগ না থামা অবধি কোনওভাবেই নৌকা চালানো সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।