বর্ধমান: তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানই হয়ে গেল তৃণমূলের যোগদান মঞ্চ। রাজ্যের শাসকদলে যোগ দিলেন বিজেপির সাসপেন্ডেড নেতা। রবিবার বর্ধমান শহরে এই ছবি দেখা গেল। তৃণমূলে যোগ দিলেন একদা বিজেপির জেলা সহসভাপতি তথা যুবমোর্চার জেলা সভাপতি শ্যামল রায়। তাঁর সঙ্গে প্রায় ৫০ জন কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।
এদিন বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে আসেন শ্যামল রায়। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের শাসকদলে যোগদান নিয়ে শ্যামল রায় বলেন, “এখন পদ্মে ভরে গেছে লাল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি এখন সমাজের থেকে বিচ্ছিন্ন। একটা সময় বিজেপিকে জেতানোর জন্য যেভাবে লড়াই করেছি, তেমনভাবেই এবার থেকে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য লড়াই করব।”
বিজেপি তাঁকে সাসপেন্ড করাতেই কি তৃণমূলে যোগ দিলেন? প্রশ্ন শুনে শ্যামল রায় বলেন, “এক বছর ১০ মাস আগে বিজেপি আমাকে সাসপেন্ড করেছে। তারপরও বিজেপির হয়ে প্রচার করেছি। দিলীপদাকে (দিলীপ ঘোষ) ভালবেসে দল করেছি। তাছাড়া ২০১৯ সালের ১৮ জুন আমার বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছিল। লাল হার্মাদরা জয়শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে আমার বাড়ি ভেঙেছিল। তাহলে তখনই তো আমার
বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার কথা।”
পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞ দেখে সকলে প্রায় তৃণমূলে যোগদান করছেন। এতে দল উপকৃত হবে।” বিজেপি বলছে, তাদের সাসপেন্ড করা নেতাকে দলে নিচ্ছে তৃণমূল। এই নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, তাদের এখন আর কিছু বলার নেই বলে একথা বলছে।