পূর্ব বর্ধমান: সন্ধ্যায় বাড়িতে ছোটো ছেলেকে পড়াতে বসেছিলেন তিনি। সেসময়ই ফোন আসে তাঁর মোবাইলে। সেই ফোন পেয়েই বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর ফেরত আসেননি। পরে বাড়ির অদূর থেকেই উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম উৎপল ঘোষ(৩৩)। রবিবার রাতে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের গলসির লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, উৎপল ঘোষ গ্রামে পুকুর চাষ করতেন। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে তাঁর ছ’বছরের বাচ্চাকে পড়াচ্ছিলেন। ওই সময় তাঁকে ফোন করে ডাকে গ্রামের কোনও এক ব্যক্তি। দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের তরফে ফোন করা হয়। কিন্তু ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে গ্রামের মানুষজন দেখতে পান পুকুর পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উৎপল। তাঁর মাথায় গাঁথা রয়েছে আস্ত একটি কুড়ুল।
ঘটনায় বিভৎসতায় শিউরে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গলসি থানার পুলিশ। উৎপলকে স্থানীয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কীভাবে ঘটনা, কিছুই বলতে পারব না। তবে মারাত্মক দৃশ্য। একটা কুড়ুল কেউ পিছন থেকে মাথার মাঝখানে গেঁথে দিয়েছে। ভয়ানক ঘটনা। এমনটা এলাকায় আগে ঘটেনি। চাষবাস নিয়েই কোনও সমস্যা কিনা জানা নেই।”
পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। বাড়ির থেকেই এই খুনের কোনও ‘ক্লু’ পেতে চাইছে পুলিশ। উৎপলের সঙ্গে এলাকারই কারোর পুরনো শত্রুতা ছিল, সেটার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।