SIR আতঙ্কে স্ট্রোক বাবার, সরকারি সাহায্য চেয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ মেয়ে

SIR Fear: ক্ষিতীশ বাবুর পরিবারের সদস্যরা সকলেই বলছেন, মাঝে মাঝেই বাড়িতে বলতেন ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। কী হবে তিনি কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তা নিয়ে খুবই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন। তাঁরা সকলেই মনে করছেন সেই চিন্তা থেকেই তাঁর স্ট্রোক হয়েছে।

SIR আতঙ্কে স্ট্রোক বাবার, সরকারি সাহায্য চেয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ মেয়ে
শোরগোল প্রশাসনিক মহলেও Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 09, 2025 | 9:24 AM

কালনা: এসআইআরের মূল পর্ব শুরু হতেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে এসেছে একের পর এক মৃত্যুর খবর। তৃণমূল বলছে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই নেপথ্যে কাজ করছে এসআইআর আতঙ্ক। বিজেপি বলছে এখন সাধারণ রোগে মৃত্যু বলেও জুড়ে যাচ্ছে এসআইআর তত্ত্ব। এ নিয়ে চর্চা তরজার মধ্যে এবার সরকারি সাহায্য চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ পরিবার। এ ক্ষেত্রেও জুড়ে গিয়েছে সেই এসআইআর আতঙ্ক! অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী কালনার মহাপ্রভু পাড়া এলাকার বাসিন্দা ক্ষিতীশ শর্মা (৫৬)। পরিবারের সদস্যদের দাবি, SIR আতঙ্কেই স্ট্রোক হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। 

উপ পুরপ্রধানের দ্বারস্থ মেয়ে। মেয়ে বলেছেন, পরিবারের মধ্যে রোজগার করতেন শুধু বাবা। এখন এসআইআর আতঙ্কে তাঁরই স্ট্রোক হয়েছে। করছেন সরকারি সাহায্য়ের আবেদন। শুধু উপপ্রধান নয়, পরবর্তীতে আবার কালনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও দফতরেও গিয়েছে পরিবার। এ ঘটনাতেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই কালনার মহাপ্রভু পাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন ক্ষিতীশ শর্মা। এখন ২০০২ সালের তালিকা দেখলে দেখা যাচ্ছে সেখানে তাঁর নাম নেই। বাবা-মা ছোটবেলায় মারা গিয়েছেন। ফলে লিস্টে তাঁদেরও লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না। সেই আতঙ্কেই গত ২৯ অক্টোবর তাঁর স্ট্রোক হয় বলে দাবি পরিবারের। ভর্তি করা হয়েছে কালনা হাসপাতালে। বর্তমানে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, মাস দেড়েকের জন্য পুরোপুরি বেড রেস্ট। এখন তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।

ক্ষিতীশ বাবুর পরিবারের সদস্যরা সকলেই বলছেন, মাঝে মাঝেই বাড়িতে বলতেন ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। কী হবে তিনি কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তা নিয়ে খুবই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন। তাঁরা সকলেই মনে করছেন সেই চিন্তা থেকেই তাঁর স্ট্রোক হয়েছে। চিন্তা যে করছেন সে কথা বলছেন ক্ষিতীশবাবু নিজেও। তিনি বলছেন, “আমার তো মা-বাবা ছিল না। বাবা ছোটবেলায় মারা গিয়েছে। আমার মায়ের মানসিক ভারসাম্য ঠিক ছিল না। এক ভদ্রলোক আমাকে আটাত্তর সালের আগে কালনায় নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের বাড়িতেই মানুষ। বড় হয়ে গাড়ি চালানো শিখে এখানে কাজ করি। এসআইআর শুরু হতেই আমাকে অনেকে বলেন তোর নাম নেই এবার কী হবে, মেয়ে দুটোর ভবিষ্যৎ কী হবে। তা নিয়েই চিন্তা করছিলাম।”