
বর্ধমান: বান্ধবীর সঙ্গে গ্রামের দোকানে যাওয়ার পথেই গণধর্ষণের শিকার! অভিযোগ নবম শ্রেণির ছাত্রীর। অভিযুক্তদের মধ্যে চার নাবালক ছিল বলে দাবি নির্যাতিতার। ইতিমধ্যে প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের মধ্যে একজন তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতির ছেলে। ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলের নেতারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবলিকা সন্ধ্যার দিকে বান্ধবীর সঙ্গে গ্রামের একটি দোকানে কিছু জিনিস কিনতে যাচ্ছিল। সেই সময় ছয় অভিযুক্ত আচমকা রাস্তায় তাদের আটকে দেয়। অভিযোগ, সেখান থেকেই জোর করে নাবালিকাকে পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বেশ কয়েকজন মিলে নির্যাতন চালায় তার উপর।
নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। কিন্তু একদিকে অভিযুক্তদের হুমকি, অন্যদিকে লোকলজ্জার ভয়। তাই প্রথমে কাউকেই কিছু জানায়নি সে। পরে স্কুলের এক বান্ধবীর কাছে বিষয়টি জানায়। সেই বান্ধবীই গত বৃহস্পতিবার স্কুলের শিক্ষককে ঘটনার কথা জানিয়ে দিলে, সেই শিক্ষকই পুলিশকে খবর দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মা আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। নির্যাতিতার বক্তব্য অনুযায়ী, ছ’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিকে, শুক্রবার নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তবে তৃণমূলের বক্তব্য, অপরাজিতা বিল পাশ হচ্ছে না বলেই এই ধরনের অপরাধের ঘটনা বাড়ছে।
তৃণমূল নেতা বলেন, “যে বা যারা এই জঘন্য পাশবিক কাজ করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। সে পরিচয় যাই হোক। এটা বাংলা। এখানে বিচার হবে। অপরাজিতা বিল পাশ হয়ে গেলে আরও দ্রুত বিচার করা সম্ভব হবে।“