Katwa: প্রাণ হাতে নিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত, উদাসীন প্রশাসন

Purba bardhaman: সম্প্রতি দেড় মাস আগে বন্যার জলে অবশিষ্ট সেই ভগ্ন ফেরিঘাট জলের তোড়ে ভেঙে যায়।

Katwa: প্রাণ হাতে নিয়েই চলছে ঝুঁকির যাতায়াত, উদাসীন প্রশাসন
চলছে ঝুঁকির যাতায়াত

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 14, 2021 | 2:10 PM

কাটোয়া: একটি মাত্র ফেরীঘাট। তাও আবার পিচ্ছিল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার জেরে কাটোয়ার শাখাই অস্থায়ী ফেরিঘাটে  বিপজ্জনকভাবে চলছে যাত্রী ও যানবাহনের যাতায়াত। এই রাস্তা ধরে সকাল থেকে যাতায়াত করার ফলে ঘটেছে বেশ কয়েকটি ছোটো বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। সব জেনেও এখনো পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ এমনটাই অভিযোগ যাত্রীদের। যেকোনও সময় বড় ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে যাত্রীরা।

প্রসঙ্গত, কাটোয়া ও কেতুগ্রামের শাখাই সংযোগকারী কাটোয়া শাখাই ফেরিঘাট। গত কয়েক বছর আগে এখানে যাত্রী পারাপারের জন্য একটি ভগ্ন ফেরিঘাট ছিল। সেই ভগ্ন ফেরিঘাট দিয়েই যাত্রী পারাপার করানো হতো। সম্প্রতি দেড় মাস আগে বন্যার জলে অবশিষ্ট সেই ভগ্ন ফেরিঘাট জলের তোড়ে ভেঙে যায়। তারপর থেকেই এই ফেরিঘাটের পাশে একটি অস্থায়ী ফেরিঘাট বানিয়ে চলছে যাত্রী পারাপার।

ফেরিঘাটটি বানানো হয়েছে নদীর পাড়ে। ঘাটের মূল রাস্তা থেকে অস্থায়ী ফেরিঘাট পর্যন্ত রাস্তা উঁচু-নিচু ও মাটির। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টিতে মাটি ভিজে পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে রাস্তা। আর এর ফলেই পিছিল হয়ে থাকা রাস্তায় সকাল থেকেই ঘটে চলেছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যাত্রীরা সমস্যার কথা ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনো পর্যন্ত তার কোনও সমাধান করা হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি নতুন পাকা স্থায়ী ফেরিঘাট কবে নির্মাণ করা হবে এ ব্যাপারে কোনও সদুত্তর মেলেনি।

প্রসঙ্গত, আরামবাগের চিত্রটাও এক। বন্যার জলে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সেতু। কিন্তু তাও গিয়েছে ভেঙে যার কারণে চরম সমস্যার সম্মুখীন এলাকাবাসী। জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে সেতু। সেই সেতুর এখন আর কোনও চিহ্ন পর্যন্ত নেই। এখনও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে পারাপার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের‌। ঘটনাটি খানাকুলের নতিবপুর ফেরিঘাটে।

মুন্ডেশ্বরী নদীর ওপর এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য বাঁশের একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি করেছিল প্রশাসন। এই সেতু দিয়েই চলাচল করত গ্রামবাসীরা। কিন্তু চলতি বছরে ভয়াবহ বন্যায় সেতুটি ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। যার কারণে এই এলাকার দশ থেকে বারোটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।