Katwa: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ পরিশোধ করছিলেন ওঁরা, হঠাৎই অ্যাকাউন্টে ঢোকা বন্ধ লক্ষ্মীর ভান্ডার, গ্যাস ভর্তুকির টাকা! নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কারণ

Katwa Fraud Case: কয়েক বছর আগে কাটোয়া-২ ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছিলেন। মহিলাদের দাবি, করোনাকাল থেকেই তাঁরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেঝিয়ারি শাখার এক নিযুক্ত এজেন্টের কাছে নিয়মিত কিস্তি জমা করতেন।

Katwa: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ পরিশোধ করছিলেন ওঁরা, হঠাৎই অ্যাকাউন্টে ঢোকা বন্ধ লক্ষ্মীর ভান্ডার, গ্যাস ভর্তুকির টাকা! নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কারণ
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতারণার অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 01, 2025 | 10:33 AM

কাটোয়া: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ পরিশোধকে ঘিরে বিপাকে গোষ্ঠীর মহিলারা। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের নিযুক্ত এজেন্টের মারফত নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। উল্টে বহু গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘লক’ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে সরকারি প্রকল্পের টাকা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, গ্যাস ভর্তুকির টাকা তুলতে পারছে না মহিলারা। মহিলারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কাটোয়া-২ ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়েছিলেন। মহিলাদের দাবি, করোনাকাল থেকেই তাঁরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মেঝিয়ারি শাখার এক নিযুক্ত এজেন্টের কাছে নিয়মিত কিস্তি জমা করতেন। বাড়িতে এসে ওই এজেন্ট টাকা সংগ্রহ করে ব্যাঙ্কের রশিদ দিতেন। কিন্তু বর্তমানে ব্যাঙ্ক থেকে মহিলাদের জানানো হচ্ছে, সেই টাকা জমাই হয়নি। উপরন্তু,তাঁদের দেওয়া রসিদও জাল। অভিযোগ তুলে এবার পথে মহিলারা।

গোষ্ঠীর এক মহিলার অভিযোগ,  “আমরা ঠিক সময়ে কিস্তি দিয়েছি, রসিদও আছে। অথচ ব্যাঙ্ক বলছে টাকা জমা হয়নি। এখন সরকারি প্রকল্পের টাকা তুলতেও পারছি না। ব্যাঙ্কে গিয়ে শুধু হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমরা ঋণ নিয়ে কিস্তি পরিশোধ করেছি। অথচ ব্যাঙ্ক সেই টাকা মানতে চাইছে না।”

এ বিষয়ে কাটোয়া-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পিন্টু মণ্ডল বলেন, “কড়ুই, মেঝিয়ারি সহ একাধিক গ্রামে মহিলাদের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা হয়েছে। ব্যাঙ্কের এজেন্ট ভয় দেখিয়ে টাকা তুলেছিল, কিন্তু জমা করেনি। মহিলাদের অ্যাকাউন্ট দু’-তিন বছর ধরে লক করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মহকুমা শাসক ও বিডিও-কে জানানো হয়েছে।”

যদিও ব্যাঙ্ক কর্তপক্ষর বক্তব্য, গোষ্ঠীর মহিলাদের কিস্তির যথেষ্ট টাকা জমা হয়নি। এখনও ঋণ বাকি রয়েছে। তাই তাঁদের লোক আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।