Extra Marital: প্রেমিকের বাইকে চড়ে টাটা করলেন টুম্পা, অপমানে শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী স্বামী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 23, 2021 | 3:55 PM

Kalna: বারবার টুম্পাকে স্বামীর কাছে ফিরে আসতে বলেও কোনও লাভ হয়নি। গত সোমবার বিকালে মোটর বাইকে উঠে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক সুদেববাবুর উদ্দেশে হাত নেড়ে চলে যান।

Extra Marital: প্রেমিকের বাইকে চড়ে টাটা করলেন টুম্পা, অপমানে শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী স্বামী
স্ত্রীকে চলে যেতে দেখে আত্মহত্যা স্বামীর। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কালনা: বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। স্ত্রী থাকতে চান তাঁর প্রেমিকের কাছে। এদিকে স্ত্রীকে ছাড়তে নারাজ স্বামী। কিন্তু তাঁর চোখের সামনেই প্রেমিকের মোটরবাইকে চড়ে স্ত্রীর চলে যাওয়া দেখে লজ্জায়, অপমানে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। সুইসাইড নোটে সন্তানদের কাছে চেয়ে গেলেন ক্ষমা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কালনার সাহাপুর এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে শ্বশুরবাড়ির চিলেকোঠা থেকে জামাই সুদেব দে-র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। কিন্তু কেন এই আত্মহত্যা? জানা গিয়েছে, কুড়ি বছর আগে চেন্নাইয়ের বেসরকারি সংস্থার কর্মরত বাঘনাপাড়ার বাসিন্দা সুদেব দের সঙ্গে কালনার সাহাপুরের বাসিন্দা টুম্পা দে-র বিয়ে হয়। তাঁদের সতেরো- আঠারো বছরের একটি মেয়ে রয়েছেন। সুদেববাবু কর্মস্থল থেকে কালী পুজোর সময় বাড়িতে এসেছিলেন। তখনই নাকি স্ত্রী টুম্পা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। স্বামী সহ দুই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বুঝিয়ে- শুনিয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ফের তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে সুদেব ও টুম্পা দেবীর মেয়ের অভিযোগ।

বারবার টুম্পাকে স্বামীর কাছে ফিরে আসতে বলেও কোনও লাভ হয়নি। গত সোমবার বিকালে মোটর বাইকে উঠে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক সুদেববাবুর উদ্দেশে হাত নেড়ে চলে যান। গোটা ঘটনায় চরম অপমানিত হন তিনি। এর পর সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি বলে খবর। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তার পর মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে ‘বিদায়’ লিখা রয়েছে সেই নোটে।

সেই সুইসাইড নোট

সুদেববাবুর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে জানান, তাঁর মা বাবার সঙ্গে থাকতে চাইতেন না। টুম্পা নাকি স্বামীকে এও বলেন, তাঁকে যদি একটুও ভালবেসে থাকেন, তাহলে যেন প্রেমিকের সঙ্গে একলা ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। স্বামী-সন্তান, সংসার ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যেতে এতটাই মরিয়া ছিলেন টুম্পা যে, কয়েক দিন ধরে প্রচুর অশান্তি হয়েছিল বলে জানান তাঁদের মেয়ে। তাঁর দাবি, সামাজিক লজ্জায় তাঁর বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন।

এদিকে টুম্পার বাবাও স্বীকার করেন তাঁর মেয়ের জন্যই জামাইকে আত্মহত্যা করতে হল। তাঁরা সবাই চেষ্টা করেও মেয়েকে সংসারে রাখতে পারেন না। তাঁর নিজের কথায়, “যদি আমার চোখের সামনে স্ত্রী অন্য কারও বাইকে উঠে পালিয়ে যায়, আমি হলে কী করব?” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: TMC Clash: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ, ভর দুপুরে চলল বোমা-গুলি, আহত ৬ 

আরও পড়ুন: SC on Tripura: প্রচারের শেষদিনেও গোলমাল! হিংসা প্রতিরোধে কী করেছে ত্রিপুরা সরকার, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

Next Article