Bardhaman medical college: প্রবল জ্বর সঙ্গে খিঁচুনি, ‘ইঞ্জেকশন দিতেই’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ একের পর এক প্রসূতি
Bardhaman medical college: প্রসূতিদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার সন্ধে নাগাদ হাসপাতালের নার্সরা ইঞ্জেকশন দেন প্রসূতিদের। এরপরই দশ থেকে বারোজন প্রসূতি অসুস্থ বোধ করেন।শুরু হয় চরম খিঁচুনি।

বিষাক্ত স্যালাইন-কাণ্ডে সম্প্রতি উত্তাল হয়েছিল গোটা বাংলা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয় আরও চারজন।সেই রেশ কাটতে না কাটতে এবার সংবাদ শিরোনামে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। সেখান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় দশ বারোজন প্রসূতি। অভিযোগ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই এই অসুস্থতা শুরু হয়েছে মহিলাদের।
সুমন দাস বলেন, “বিকেলে চারটে ইঞ্জেকশন দেয় নার্সরা। রোগীর কাঁপুনি দেয়। জ্বর আসে। ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই এইসব হয়েছে। এই রকম প্রায় চোদ্দ-পনেরোজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।”
জয়দেব মণ্ডল নামে আর একজন বলেন, “আমার স্ত্রী সুস্থ ছিল। হঠাৎ ফোন আসে রোগীর খিঁচুনি হচ্ছে সঙ্গে অতিরিক্ত জ্বর। ভুলভাল ইঞ্জেকশন দিয়ে চলে গেছে একটা মেয়ে। রোগীকে দেখতে গেলে সিকিউরিটি বের করে দিয়েছে। কারও কিছু হলে এর দায় কে নেবে?”
প্রসূতিদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার সন্ধে নাগাদ হাসপাতালের নার্সরা ইঞ্জেকশন দেন প্রসূতিদের। এরপরই দশ থেকে বারোজন প্রসূতি অসুস্থ বোধ করেন।শুরু হয় চরম খিঁচুনি। পাশাপাশি আসে জ্বর। তাঁদের আরও অভিযোগ, যাঁরা ইঞ্জেকশন দিয়েছে, তাঁরা কেউ প্রশিক্ষিত নন। খালি পেটে পরপর তিন থেকে চারটে ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্যই প্রসূতিরা চরম অসুস্থ বোধ করেছেন। খালি পেটে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি রোগীর পরিবারের।
এই নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে জানান, “ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর একটা সমস্যা হয়েছিল। তবে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজ করা হয়েছে। পাঁচ-ছ’জন এখনও অসুস্থ রয়েছেন।”

