Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে ‘হুমকি’ সাংসদ সুনীলের, অপেক্ষা করতে বলায় হারালেন মেজাজ

একজন সাংসদ হয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বায়িত্বে থাকা একজন আধিকারিককে কীভাবে এই মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।

ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে 'হুমকি' সাংসদ সুনীলের, অপেক্ষা করতে বলায় হারালেন মেজাজ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2021 | 9:44 PM

কলকাতা: মাসকয়েক হল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন। এরই মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল (Sunil Mondal)। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা করতে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়না কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানিক রায়। দক্ষিণ মহকুমা শাসকের দফতরে আসেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর সেখানে সুনীল মণ্ডলও আসেন। কিন্তু, তাঁকে কর্তব্যরত প্রশাসনিক আধিকারিকরা ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। সেই সময় কর্তব্যরত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ভগীরথ হালদার জানান, প্রার্থীর সঙ্গে যেহেতু দু’জন ভিতরে যেতে পারেন, তাই একজন বেরিয়ে এলে সুনীলবাবু ভিতরে যেতে পারবেন। এতেই মেজাজ হারান সাংসদ সুনীলবাবু।

তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকির সুরে বলেন, “আপনার নির্দেশ তো আর কটা দিন, তারপর আমরা নির্দেশ দেব।” সুনীল মণ্ডলের এই মন্তব্য নিয়েই সরগরম বর্ধমানের রাজনীতি। একজন সাংসদ হয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বায়িত্বে থাকা একজন আধিকারিককে কীভাবে এই মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।

আরও পড়ুন: ‘একটু চেষ্টা করি না…’ বলেই সভামঞ্চে আচমকা হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন! নন্দীগ্রামে মমতার বড় চমক

এই নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সুনীলবাবু তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁধে চেপে সাংসদ হয়েছেন। ওঁর পায়ের তলায় মাটি নেই তাই এই ধরনের মন্তব্য করছেন। ক্ষমতায় নেই তাতেই নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে ধমকাচ্ছেন, আগামিদিনে কোনও সুযোগ পেলে বাংলার কী হাল করবেন তা বাংলার মানুষ বুঝতে পারছে। এ বিষয়ে সুনীল মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। আইন সবার জন্য এক হওয়া উচিত। শাসক দলের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না।”

আরও পড়ুন: টেপের সত্যতা স্বীকার মমতার, বললেন, ‘ভাইরাল করাটা অপরাধ’, পাল্টা প্রলয়ের দাবি, ‘ওটা দল করেছে’