Political Clash: উৎসব মিটটে না মিটতেই ফের রাজনৈতিক হিংসা শুরু! বর্ধমানে আহত তিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 07, 2021 | 11:45 PM

BJP VS TMC: স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

Political Clash: উৎসব মিটটে না মিটতেই ফের রাজনৈতিক হিংসা শুরু! বর্ধমানে আহত তিন
উৎসব মিটটে না মিটতেই রাজনৈতিক হিংসা পূর্ব বর্ধমানে। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: উৎসব মিটটে না মিটতেই হিংসার আবহ। রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বর্ধমানের (Purba Burdwan) বিজয়রাম কুড়েপাড়া। এই ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে দুষেছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই বিজয়রাম কুড়েপাড়া বর্ধমান-১ ব্লকে অবস্থিত। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ভোটের পর তাঁদের পাড়ায় হামলা হয়। বেশ কয়েকজন ঘরছাড়া ছিলেন সেই সময়। পরে এলাকার বিধায়ক উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের ফিরিয়ে আনেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা আহত হয়েছেন সকলেই বিজেপির কর্মী। যদিও ভোটের পর থেকে দলীয় কর্মসূচিতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, তাঁদের উপর পুরনো আক্রোশ ছিল। বিজেপি সমর্থকরা জানান, এরপরই রবিবার একদল মদ্যপ যুবক এসে হামলা করে।

অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি কর্মীদের ঘর ও দোকানে হামলা চালানো হয়, ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও মারা হয় বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের দাবি, বিজেপিই এলাকায় ঝামেলা করছে। মিথ্যা শাসকদলকে বদনামের চেষ্টা করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেত্রী কাকলি গুপ্ত বলেন, “এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এলাকায় কালীপুজো নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়েছে। এই এলাকায় উন্নয়ন ও শান্তি বজায় রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভাল কাজ করে চলেছেন। তাঁদের বদনাম করতে এসব বলা হচ্ছে।”

তৃণমূল সমর্থক কবিতা সমাদ্দার বলেন, “আমার ভাইপো সঞ্জয় সাঁইকে বকেয়া টাকা দেবে বলে স্থানীয় মাল বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ওকে মারধর শুরু করে। আমাকে ছেলে খবর দেয়। আমি আটকাতে যাই বলে আমাকে ফেলে দিয়ে পায়ে মেরেছে। ছেলেটাকেও মেরেছে। ভাইপো টাকা চেয়েছে, সেটাই ওর অপরাধ। এখন ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি।”

অন্যদিকে আহত বিজেপি সমর্থক বন্দনা মালের অভিযোগ, “সাঁই বাড়ির ছেলে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। বাড়িঘর, দোকান ভেঙেছে। বাড়িতে ঢুকে কুড়ুল মারছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কুড়ুল কেন চালাচ্ছ। ব্যস! আমার উপরও হামলা করল। ভোটের আগে থেকে মারব মারব করছে। বলেইছিল, দুর্গাপুজোয় পারলাম না, কালীপুজোয় দেব। পার্টি তো দু’টো হতেই পারে।”

বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক এসআর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী ঘটেছে সবাই জানেন। এলাকায় এসে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়। আজ একজন মহিলা-সহ তিনজনকে মারা হয়েছে। মহিলা কর্মীর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কবে ভোট হয়েছে। আর আজও হামলা চলছে। বিজেপি এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সাহায্য চাওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: Corona Update: পুজোর হুল্লোড়! উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত ৪

Next Article