AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child Specialist: হাতে গোনা রোগী দেখবে ডাক্তার, রাতভর বাচ্চা কোলে বাবা-মায়ের লাইন

Katwa: যদিও চেম্বার থেকে জানানো হয়েছে, বাচ্চা নিয়ে কাউকে রাতভর লাইনে দাঁড়াতে বলা হয় না। তাই এ দায়িত্ব তাদের নয়।

Child Specialist: হাতে গোনা রোগী দেখবে ডাক্তার, রাতভর বাচ্চা কোলে বাবা-মায়ের লাইন
শিশু চিকিৎসায় চরম দুর্ভোগ কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 10:35 AM
Share

পূর্ব বর্ধমান: শিশুদের ডাক্তার (Child Specialist)। কিন্তু তাঁকে দেখাতে গেলে সকাল ৬টায় নাম লেখাতে হয় বলে অভিযোগ। আর সেই নাম লেখানোর তাগিদেই রাতভর মা-বাবা কিংবা আত্মীয় পরিজনকে ঠায় বসে থাকতে হয় চেম্বারের সামনে। দিনের পর দিন এক চরম যন্ত্রণার পরিস্থিতি কাটোয়া শহরের মিউনিসিপ্যালিটি মোড়ে।

শিশুদের ডাক্তার দেখানোর জন্য রাস্তায় মশারি টাঙিয়ে রাত জাগছেন মা বাবারা। কেউ কেউ রাতে রাস্তার পাশে দোকানের সামনে ঘুমন্ত শিশু কোলেই রাত কাটাচ্ছেন। কিছু করারও নেই। অসুস্থ বাচ্চার চিকিৎসাও তো করাতেই হবে। অভিযোগ, কাটোয়ার শিশু চিকিৎসক মৃণালকান্তি কবিরাজের চেম্বারে বাচ্চা দেখাতে গেলে সকাল সাড়ে ছ’টায় নাম লেখাতে হয়। এদিকে রোগীর দেখার সংখ্যাও নির্দিষ্ট রয়েছে ডাক্তারের। তার থেকে একটিও রোগী বেশি তিনি দেখেন না বলে অভিযোগ। ফলে শত কষ্ট করেও রাতভর এভাবেই লাইনে দাঁড়ান বাচ্চার অভিভাবকরা।

অভিযোগ, শিশু চিকিৎসকের চেম্বার থাকলেও তা দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ চেম্বার খুলে নাম লেখানো হয়। ৭টা নাগাদ চেম্বারে আসেন ডাক্তার বাবু। একবেলায় মাত্র ৪০টি শিশুকে দেখেন তিনি। সারা বছর ধরেই চিকিৎসকের এমন ধারা রোগী দেখার পদ্ধতি বলে ক্ষোভ স্থানীয়দের।

হরিপুর থেকে এসেছেন হরি মাঝি। তিনি বলেন, “বাড়ির বাচ্চা অসুস্থ। ডাক্তার দেখানোর জন্য এসে রাত থেকে বসে আছি। বাচ্চা নিয়ে বসে কী দুর্ভোগ! মশা খাচ্ছে, এত ভিড়। তবু কী করব। সকাল ছ’টায় নাম লেখাবে। তখন কী আর অত দূর থেকে এসে রোগী দেখানো যায়। দিনের পর দিন এই সমস্যা। ৪০ জন হয়ে গেলে আর একজনকেও দেখেন না।”

অন্য রানু বিবি এসেছেন তাঁর সন্তানকে নিয়ে। তিনি বলেন, “বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাব বলে বিকেল চারটেয় এসেছি। সারা রাত বসে থাকব এখানেই। না হলে তো ডাক্তারের কাছে নাম লেখানো যায় না। সকাল ৬টায় নাম লেখাব। সাতটায় ডাক্তারবাবু দেখবেন। তারপর বাড়ি যাব। ছেলেটাকে তো বাঁচাতে হবে। রাস্তার মাঝে পড়ে রয়েছি। কেউ মেরে ফেললেও কিছু করার নেই। আমার প্রাণ যায় যাক।”

সোনালি বিবি নামে অপর এক মহিলা বলেন, “রাতভর এভাবে আমরা মহিলারা বসে থাকি। শৌচাগারটুকুও নেই। ডাক্তারবাবু তো জানেন আমাদের কষ্টটা। উনি তো একটা পথ বের করতে পারেন। এর আগে একদিন সন্ধ্যায় এসেছিলাম ৪০ জন পার করে গিয়েছে। তাই এবার বিকেল থাকতে থাকতে চলে এসেছি।”

এ বিষয়ে চিকিৎসক মৃণালকান্তি কবিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে চেম্বার থেকে জানানো হয়, ডাক্তার রোগী দেখেন সকাল থেকে। কাউকে রাত্রে আসতে তো বলা হয়নি। রাত্রে কেউ এলে কিছু তো করার নেই।

আরও পড়ুন: Bombay HC: ‘আমাদের কুষ্ঠি মিলছে না, বিয়ে করা অসম্ভব, গর্ভের সন্তান তুমি নষ্ট করে ফেলো’! যুবকের দাবিতে হতবাক আদালতও