বর্ধমান: পাশাপাশি দুটো ঘর। একটা ঘরে থাকেন বিধবা বৌদি। তার পাশের ঘরটাতেই থাকতেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও অসুস্থ স্ত্রী। বুধবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম জীবনকানাই সেনগুপ্ত (৭৫)। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের (Purbo Bardhaman) রায়না এলাকায়।
জীবনকানাইয়ের বৌদির চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা। জীবনকানাইয়ের ঘরের মেঝে ততক্ষণে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। চাপ চাপ টাটকা রক্ত। বৃদ্ধের মাথা একেবারে থেঁতলে গিয়েছে। আর পাশেই বড়ে একটা স্টিলের লাঠি। দুর্পাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসর প্রাপ্ত কর্মীর এ অবস্থা দেখে ঘাবড়ে যান প্রতিবেশীরাও। এত নৃশংসভাবে কে মারল তাঁকে আর কারণই বা কী? কিছুই ঠাওর করতে পারছেন না তাঁরা। জীবনকানাইয়ের বিধবা বৌদি ঘটনার বীভৎসতায় স্থবির হয়ে গিয়েছেন।
উঁচু পাঁচিল ঘেরা দোতলা বাড়ির একতলার ঘরে থাকতেন জীবনকানাই ও তাঁর অসুস্থ স্ত্রী মঞ্জু। শারীরিক অসুস্থতার জন্য মঞ্জু বহু আগেই হাঁটা চলার শক্তি হারিয়েছেন। তাঁদের দুই মেয়ের বিয়েও অনেকদিন আগে হয়ে গিয়েছে। বাড়ির অন্য ঘরে থাকেন বৌদি।
সুতপার বয়ান অনুযায়ী, অস্বাভাবিক একটা অওয়াজ শোনার পর তিনি তাঁর দেওরের ঘরে যান। তখনই দেখেন খাটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর দেওর। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওঠাবসার শক্তি হারিয়ে ফেলা তাঁর জা মঞ্জু তখনও মশারি টাঙানো বিছানাতেই শুয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: মামাবাড়ি যাওয়ার পথে জঙ্গলে মায়ের সঙ্গে ঘৃণ্য কীর্তি বাবার! সব দেখে স্থবির তিন বছরের ছেলে
জানা গিয়েছে, সকালেই ব্যাঙ্ক থেকে টানা তুলে এনেছিলেন জীবনকানাই। সেই টাকা হাতাতেই খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন , প্রথমিক ভাবে এটি একটি খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।ঘটনাস্থল থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।