Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক, ‘প্রেম দিবসে’ নৃশংস কীর্তি শিক্ষকের! ১৮ দিন পর এল প্রকাশ্যে

এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে পূর্বস্থলী (Purbasthali ) মানুষ নৃশংস (Murder) ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন।

ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক, 'প্রেম দিবসে' নৃশংস কীর্তি শিক্ষকের! ১৮ দিন পর এল প্রকাশ্যে
ধৃত গৃহশিক্ষক
Follow Us:
| Updated on: Mar 05, 2021 | 12:28 PM

কালনা: মেয়ের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রথম থেকেই ভাল বন্ধুত্ব ছিল। পড়ানোর ফাঁকে ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, ফুচকা খাওয়া সবই চলত। এরই মধ্যে ছাত্রীর বাবা কাজের সূত্রে বাইরে চলে গেলে, সে সম্পর্ক হতে থাকে আরও গাঢ়। ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গৃহশিক্ষক। কিন্তু বাধ সাধে লকডাউন। ভিন রাজ্যে কাজ হারিয়ে ফের গ্রামে ফিরে আসেন ছাত্রীর বাবা। ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়ান তিনি। ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক জিইয়ে রাখতে তাই সেই কাঁটাকেই উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গৃহশিক্ষক। তাতে আবার সঙ্গী করেন নিজেরই আরেক ছাত্রকে। খুনের দিন নির্ধারিত হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। নির্দিষ্ট দিনেই ছাত্রীর বাবার গুলি করে গলার নলি কেটে খুন করেন গৃহশিক্ষক। নৃশংস এক খুনের ঘটনায় তোলপাড় বর্ধমানের পূর্বস্থলী। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে পূর্বস্থলী (Purbasthali ) এক টোটো চালকের খুনের (Murder) ঘটনার কিনারা করল পুলিশ।

১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্বস্থলীর বড়ধামাস থেকে পিন্টু পাল নামে এক টোটোচালকের গুলিবিদ্ধ ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে মনে করা হয়, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই খুন হয়েছে। পুলিশ পিন্টুর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু তাঁর কথাতেই একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে।

এরপরই পুলিশের সামেন খুলে যায় এক সূত্র। জেরায় উঠে আসে পিন্টুর মেয়ের গৃহশিক্ষক জিতেন ঘোষের নাম। জানা যায়, জিতেন্দ্রের সঙ্গে পিন্টুর স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। পিন্টু কাজের সূত্রে বাইরে চলে গেলে সে সম্পর্ক গতি পায়। কিন্তু লকডাউনে কাজ হারিয়ে পিন্টু ফিরে এলেই সমস্যা তৈরি হয়। এরপরই পিন্টুকে খুন করার ছক কষেন জিতেন।

সেক্ষেত্রে তাঁরই এক ছাত্র দিব্যেন্দু ঘোষের সাহায্য নেন তিনি। ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’তেই পিন্টুকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়। পিন্টু সেদিন টোটো নিয়ে বাইরে বেরনোর পর তাঁর ওপর চড়াও হন জিতেন। প্রথমে গুলি করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, পিন্টুর গলার নলি কাটেন জিতেন ও দিব্যেন্দু।

আরও পড়ুন: ভাইপোর খোঁজ নিতে গিয়ে যান জ্যেঠু, কথার ছলেই ভাইয়ের বউকে ডেকেছিলেন! এখন ফুঁসছে গ্রাম

ঘটনার তদন্তে নেমে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ আঠারো দিনের মাথায় ঘটনার খুনের কিনারা করে। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় নিজেদের অপরাধ কবুল করেছেন তাঁরা।

নিজস্ব চিত্র

ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য জিতেনকে শুক্রবার তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলেকে দেখেই দৌড়ে এসে তাঁর পায়ে লুটিয়ে পড়েন জিতেনের বৃদ্ধ মা। পুলিশ কর্মীরাও চমকে যান।

জেরায় এও জানা গিয়েছে, জিতেনের আগে দু’বার বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন জিতেন। তিনিও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।