Rice Price: ১০০ টাকা কেজি চাল! মিনিকিট, বাঁশকাঠিতে তো হাত দেওয়া যাচ্ছে না, কী হল হঠাৎ! কপালে ভাঁজ মধ্যবিত্তদের
Rice Price: মধ্যবিত্ত পরিবারে মিনিকিট চালের কদর বেশি। আর সেই চালের দাম গত কয়েকদিনে একলাফে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য চালের দামও।

বর্ধমান: পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সব পরিবারেই ভাতের কদর বরাবরই বেশি। মাছে-ভাতে বাঙালির পরিবারে মাসে কেজি কেজি চাল লাগে। এবার সেই চাল কিনতেও বেগ পেতে হচ্ছে। চালের দাম একধাক্কায় এত বেড়ে গিয়েছে, যা চিন্তায় ফেলছে সাধারণ মধ্যবিত্তকে। কীভাবে এত দাম বাড়ল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ীরাও। মিনিকিট থেকে শুরু করে বাঁশকাঠি বা গোবিন্দভোগ, দাম বেড়েছে সব চালেরই।
হঠাৎই এক ঝটকায় কেজি প্রতি চালের দাম ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। বর্ধমানে চালের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় টাস্ক ফোর্সকে মাঠে নামিয়েছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে প্রচুর চাল উৎপন্ন হয়। সেখানেই এভাবে দাম বেড়ে যাওয়া দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ।
মধ্যবিত্ত পরিবারে মিনিকিট চালের কদর বেশি। আর সেই চালের দাম গত কয়েকদিনে একলাফে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য চালের দামও। আচমকা দাম বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসনও। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানি জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকার চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চালের দাম এভাবে এতটা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়াটা তাঁরা ভালভাবে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে খদ্দেরদের বোঝাতেই তাঁরা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। অনেক সময় তাদের কটু কথাও হজম করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।
চাল বিক্রি করেন রাইস মিলাররা, বড় বড় আড়তদাররাও বিক্রি করেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি কোথাও কৃত্রিমভাবে অভাব তৈরি করে মুনাফা লোটার চেষ্টা হচ্ছে? এ ব্যাপারে সরকার তথা প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।
কয়েকদিন আগেও মিনিকিট খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। সেই মিনিকিট এবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। রত্না চালের দাম ছিল ৪৩ টাকা প্রতি কেজি, যা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি বাঁশকাঠি চালের দাম ৭২ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। আর গোবিন্দভোগ চাল খুচরো বাজারে ৮৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, যা বর্তমানে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।
সিপিএমের কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি অমল হালদারের দাবি, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর জন্যই এভাবে চালের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্য সরকারের নজরদারির অভাব রয়েছে। অন্যদিকে, বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, কৃষকরা যদি এই পরিস্থিতিতে ধানের দাম বেশি পায়, তাতে কোনেও ক্ষতি হবে না। তাঁর মতে, আর কিছুদিনের মধ্যে নতুন চাল বাজারে উঠলেই এই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।





