Businessman Death: এককালে রাজ করতেন খনি এলাকায়, কীভাবে উত্থান হয়েছিল কয়লা ব্যবসায়ী রাজুর?
Raju Jha Murder: জানা যাচ্ছে, ২০০৩-২০০৪ সাল থেকে শুরু হয়েছিল রাজুর কয়লা 'কারনামা'। অর্গানাইজডভাবে কয়লা ট্রান্সপোর্টের মধ্যে দিয়ে। বেআইনি কয়লাকে অর্গানাইজডভাবে ট্রান্সপোর্ট করতে শুরু করেছিল এই রাজু ঝাঁ।
শক্তিগড়: শনিবার ভরসন্ধেয় শক্তিগড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কয়লা ব্যবসায়ীর রাজু ঝাঁ’র। শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের কাছে জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়েছিল ওই কয়লা ব্যবসায়ীর গাড়ি। গাড়ির ভিতরেই ছিলেন তিনি। সেই সময় একটি গাড়িতে চেপে দুষ্কৃতীরা এসে অতর্কিতে গুলি চালিয়ে পালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। কিন্তু কে এই রাজু ঝাঁ? পুলিশ সূত্রে খবর, এই রাজুর উত্থান রানিগঞ্জ থেকে। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন কয়লার ট্রাকের খালাসি। জানা যাচ্ছে, ২০০৩-২০০৪ সাল থেকে শুরু হয়েছিল রাজুর কয়লা ‘কারনামা’। অর্গানাইজডভাবে কয়লা ট্রান্সপোর্টের মধ্যে দিয়ে। বেআইনি কয়লাকে অর্গানাইজডভাবে ট্রান্সপোর্ট করতে শুরু করেছিল এই রাজু ঝাঁ। সেই সময় থেকেই কয়লা-মাফিয়া হিসেবে পরিচয় তৈরি হয়েছিল রাজুর। গ্রেফতারও হয়েছিল পুলিশের হাতে।
সূত্রের খবর, খনি অঞ্চলে অবৈধ কয়লার কারবারে এই রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর কয়লার ‘প্যাড’-এ চলত এই কারবার। বীরভূমের বিভিন্ন জায়গাতেও তাঁর নামে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। জানা যাচ্ছে, বেআইনি কয়লা কারবারে যুক্ত থাকার একটি মামলায় ২০০৬ সালে কয়েক দিন জেলও খাটেন তিনি। কয়লা সংক্রান্ত নানা অভিযোগে ২০১১-এর ৩ জুলাই রাজুকে পুলিশ রানিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। এর পরেও তিনি বহু বার গ্রেফতার হন। ২০০৬-এর পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। সেখানে এক শপিং মলে ব-কলমে তাঁর রেস্তরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান, হোটেল রয়েছে বলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, বেআইনি কয়লাকে অর্গানাইজ়ডভাবে ট্রান্সপোর্ট করার কাজে অন্ডাল থেকে মগরা জোনের দায়িত্ব ছিল রাজুর। ২০০৭ সালে তাঁর ব্যবসার আরও বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ছোট ছোট মাফিয়া গ্রুপ নিয়ে বড় গ্রুপ তৈরি করতে শুরু করেছিল সেই সময় থেকেই। এককালে তাঁর ব্যবসার টার্ন ওভার ছিল প্রায় ২ হাজার কোটি। শুধু কয়লার ব্যবসাই নয়, এর পাশাপাশি ভলভো গাড়ি ও হোটেলের ব্যবসাতেও হাত পাকিয়েছিলেন এই রাজু।