Saktigarh Lancha Hub: মমতার সফরের দিনই শক্তিগড়ের ল্যাঙচা ব্যবসায়ীদের অভিনব প্রতিবাদ…কিন্তু কেন?
Saktigarh Lancha Hub: বর্ধমানে প্রসাশনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নজরে বিষয়টি আনার জন্যই আজ ল্যাঙচা ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন।
পূর্ব বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার দিনেই ব্যবসা বনধ রাখলেন শক্তিগড়ের ল্যাঙচাব্যবসায়ীদের। শুরু হয়েছে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। ফোর লেন থেকে সিক্স লেনে রূপান্তরিত হবে জাতীয় সড়ক। একই সঙ্গে জাতীয় সড়কের দু’ধারে হাইড্রেন তৈরি করছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা থেকে ছয় ইঞ্চি উঁচু করে হাইড্রেন তৈরি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, শক্তিগড় এলাকায় ১.৩ কিলোমিটার জুড়ে ল্যাংচার দোকান আছে। এই ব্যবসার ওপর ভর করে অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে। এই ১.৩ কিলোমিটারের বেশ খানিকটা অংশ রাস্তার লেবেলে ড্রেন তৈরি হলেও বেশিরভাগ অংশেই রাস্তা থেকে ছয় ইঞ্চি উঁচু করে ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে।
এভাবে উঁচু করে ড্রেন তৈরি হলে এখানে কোনও যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না। মূলত বাইরের জেলা ও অন্যান্য রাজ্যের যানবাহন ল্যাঙচার দোকানের সামনে যানবাহন রেখে দোকানে প্রবেশ কিরে। হাইড্রেন উঁচু হলে দোকানের সামনে ক্রেতারা গাড়ি রাখতে পারবেন না। ফলে ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে। এনিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেও কোন ফল হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
বর্ধমানে প্রসাশনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নজরে বিষয়টি আনার জন্যই আজ ল্যাঙচা ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা বন্ধ রেখেছেন।
ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের যা দাবি, আমরা ভেবেছিলাম মানা হবে, কিন্তু হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এটা করলাম। ল্যাঙচা মার্কেট ১.৩ কিলোমিটার জুড়ে। পার্কিংয়ের জায়গা এমনিতেই কম। গাড়ি দাঁড় না করাতে পারলে কীভাবে ব্যবসা হবে?” বৃহস্পতিবার বর্ধমানে সরকারি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পদক্ষেপ ব্যবসায়ীদের। তবে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে তাঁদের কোনও আশ্বাস দেননি বলে জানা যাচ্ছে।