SIR in Bengal: এসআইআরের ‘চাপ’, ফের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল দুই বিএলও-কে
SIR: এসআইআরের কাজ করছিলেন রাজপুর- সোনারপুর পৌরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নম্বর ১০৯ নম্বর বুথের বিএলও তনুশ্রী হালদার নাইয়া। সূত্রের খবর, শনিবার রাতেও তিনি এসআইআরের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বারুইপুর ও কাটোয়া: আবার নতুন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হল দুই বিএলও-কে। একটি ঘটনা বারুইপুর ব্লকের সূর্যপুরে। অন্য ঘটনাটি পূর্ব কাটোয়ার। এসআইআরের কাজ করছিলেন রাজপুর- সোনারপুর পৌরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নম্বর ১০৯ নম্বর বুথের বিএলও তনুশ্রী হালদার নাইয়া। তিনি বারুইপুর ব্লকের সূর্যপুর নাচন গাজা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সূত্রের খবর, শনিবার রাতেও তিনি এসআইআরের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্ঞান হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সুভাষগ্রামে সোনারপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। রাতে সেখান থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর স্বামীর দাবি, এসআইআরের কাজ নিয়েই মারাত্মক চাপে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপনউতোর তৈরি হয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাটোয়ার এক বিএলও। কাটোয়া ১৪৭ নম্বর বুথে BLO হিসাবে কাজ করছিলেন শুকদেব দাস। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এদিন সকালে এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যে সময় তিনি বের হচ্ছিলেন তখনই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এসআইআর নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই তীব্র মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। তা থেকেই এই অবস্থা।
দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকের প্রাথমিক ধারণা তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। মহকুমা শাসক যদিও বলছেন ওই বিডিও-কে আলাদা করে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ীই কাজ করতে বলা হয়েছে। তাঁরা অসুস্থ বিএলও-র শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিএলও শুকদেব দাস যদিও বলছেন চাপের কারণেই তিনি কয়েকদিন ঠিক করে ঘুমাতে পারেননি।
