Minor Girl harassment: ‘ভূতে ধর্ষণ করেছে’, আঁচড়ে-কামড়ে ‘ধর্ষণের’ পর শিশুকে শেখাল অভিযুক্ত
Katwa: অভিযোগ, নির্যাতনের সময় শিশুটির গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার চিৎকার বন্ধ করতে। ঠোঁটে কামড় এমনকি ওই শিশুকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে খবর।
কাটোয়া: নিশি ভূতের গল্প ফেঁদে গ্রামের রাস্তা থেকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে ছ’বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভূত তুলে নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও সকলকে বলতে বলা হয় শিশুটিকে। নিপিড়ন শেষ হয়নি এরপরও! অভিযোগ, নির্যাতনের সময় শিশুটির গলায় আঙুল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার চিৎকার বন্ধ করতে। ঠোঁটে কামড় এমনকি ওই শিশুকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে খবর। পাশাপাশি ওই শিশুর পায়ের তোড়া,হাতের বালা সহ অন্য গহনা খুলে নেয় অভিযুক্ত বলে অভিযোগ। নিকৃষ্ট এই ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ও অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওই শিশুটি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকালের পর বাড়ি থেকে পাড়ায় খেলতে বের হয় শিশুটি। সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না তার। চিন্তা বাড়ে পরিবারের লোকেদের মধ্যে। এ দিক-ও দিক খুঁজতে থাকেন গোটা এলাকা। খোঁজাখুঁজিতে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। এরপর রাত ১০টা নাগাদ গ্রামের একটি ঝোপ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় শিশুটিকে বেরিয়ে প্রাণপণ ছুটতে দেখেন কয়েকজন গ্রামবাসী।
তাঁরাই শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ঘটনার কথা সব জানায় শিশুটি। সে বলে, গ্রামেরই এক ব্যক্তি তাকে রাস্তা থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যায়। চিৎকার করলে তার গলা পর্যন্ত আঙুল ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্ত। বাচ্চাটি আরও জানায়, জোর করে তার শরীরের জামা কাপড় খুলে তাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে। শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় ও মারধর করে অভিযুক্ত। তাকে শিখিয়ে দেয় যে, কেউ জিজ্ঞাসা করলে নিশি ভূতে তুলে নিয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলতে।
অসুস্থ শিশুটিকে তড়িঘড়ি তাকে কাটোয়া হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে এসেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়া থানার আইসি। শিশুটির পরিবারের তরফ থেকে কাটোয়া থানায় অভিযুক্তের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত।