TMC inner clash: ‘যারা বিজেপি করতেন, তারাই পদ পেলেন’, দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলল তৃণমূলকর্মীরাই
TMC inner Clash: ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলীয় কর্মীদের একাংশ। বিডিও অফিসের বাইরে ভিড় জমান তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিডিও অফিস চত্বরে যায় পুলিশও।
গলসি: টাকা দিতেই বদলে গেল নাম! এমন অভিযোগেই ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলকর্মীদেরি একাংশ। বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বিধায়ক, ব্লক সভাপতিদের বিরুদ্ধে স্লোগান তুললেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের গলসির ঘটনা। অভিযোগ, দল কর্মাধ্যক্ষ পদের জন্য যাঁরা নাম পাঠিয়েছিলেন, কোনও এক যাদুবলে বদলে দেওয়া হয়েছে সেই নাম। খোদ বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসের সামনে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে, তাতে আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
বুধবার রাতে দলের তরফে একটি তালিকা পাঠানো হয়, সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধক্ষ্য হিসেবে নাম ছিল পঞ্চায়েত সমিতির ৭ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী সাবির উদ্দিন আহম্মেদের। অভিযোগ, পরের দিনই বদলে যায় নাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে জানা যায়, ওই পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন রুবিমনি কিস্কু। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলীয় কর্মীদের একাংশ। বিডিও অফিসের বাইরে ভিড় জমান তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিডিও অফিস চত্বরে যায় পুলিশও। বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ, ব্লক সভাপতি সুজন মণ্ডল ও যুব সভাপতি হেমন্ত পালের বিরুদ্ধে বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
সাবিরউদ্দিন আহমেদ জানান, যা বলার দলের অন্দরে বলবেন, ক্যামেরার সামনে নয়। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের অভিযোগ, যাঁরা কিছুদিন আগে বিজেপি করতেন, তাঁরাই পদ পাচ্ছেন, দলের পুরনো কর্মীদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এ ভাবে দলের দেওয়া তালিকা পাল্টে দিয়ে দল বিরোধী কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি হেমন্ত পাল জানান, দলই নাম বদলে দিয়েছে। একটি সেইমতো স্থায়ী সমিতির জন্য নাম পেশ করা হয়েছে।