জিতলেন অনুব্রত! মঙ্গলকোট-কাণ্ডে গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা

Mangalkot Murder Case: বুধবার, মৃত তৃণমূল নেতার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান অনুব্রত। সেখানে গিয়েই কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে জানান, একদিনের মধ্যেই খুনিকে ধরা হবে।

জিতলেন অনুব্রত! মঙ্গলকোট-কাণ্ডে গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2021 | 3:19 PM

পূর্ব বর্ধমান: কথা রাখলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীরা সাজা পাবেন বলে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি। কথা রাখলেন তিনি। গতকালই মৃত তৃণমূল নেতা অসীম দাসের বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে বসেই খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, “কালকের মধ্যে বলে দেব খুনি কে। বিজেপির হোক বা অন্য দলের ছাড়া পাবে না কেউ।” বৃহস্পতিবারেই, দুই তৃণমূল নেতাকে খুনের (Mangalkot Murder Case) অভিযোগে গ্রেফতার করা হল। এদিনই তাঁদের কাটোয়া আদালতে তোলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুই তৃণমূল নেতাকে বেআইনি অস্ত্র মজুত ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হতে পারে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ধৃত শাবুল শেখ লাখুড়িয়ার তৃণমূল সহ-সভাপতি। ধৃত  শাবুল শেখ বলেন, “আমাদের কেন ধরেছে আমরা জানি না। কোনও খুনের ঘটনায় আমরা জড়িত নই।” ধৃতের  বাবার কথায়, “সকালবেলা ছেলেকে এসে তুলে নিয়ে গেল। কেন নিয়ে গেল বা কী ব্যাপার কিছুই জানি না।”

প্রসঙ্গত, সোমবার লাখুড়িয়ায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন মঙ্গলকোটের তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস।  পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে সুর তোলে শাসক দল। যদিও সেই অভিযোগ বরাবর নস্যাত্‍ করে আসে পদ্ম শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্টই জানান, তৃণমূলের লোকেরাই খুনের ঘটনায় জড়িত। পরবর্তীতে খোদ মৃত নেতার পরিবার দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের ‘বি গোষ্ঠী’।

বুধবার, মৃত তৃণমূল নেতার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেখানে গিয়েই কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে জানান, একদিনের মধ্যেই খুনিকে ধরা হবে। বিজেপি হোক বা অন্য দলের, রেয়াদ পাবেন না কেউ। মঙ্গলকোটের সাংগঠিনক দায়িত্বেও রয়েছেন অনুব্রত। ফলে, অসীমবাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও যথেষ্ট বিদ্য়মান ছিল। ফলে, অসীমবাবুর মৃত্যুতে যে কড়া পদক্ষেপ করবেন অনুব্রত তা স্পষ্ট। কার্যত সেই কথাই রাখলেন কেষ্ট।

মঙ্গলকোট-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করেছে বর্ধমান জেলা পুলিশ। চার সদস্যের সেই বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও, মঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি ও ওই থানারই প্রাক্তন আইসি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করেছিল সুপারি কিলার দিয়ে খুন  করা হয়েছে। পরে, যথাযথ তথ্য প্রমাণ পেয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: ‘কালকের মধ্যে বলে দেব খুনি কে’, চ্যালেঞ্জ কেষ্টর