Burdwan: ‘আতঙ্কে রয়েছি’, শাসকদলের যুব নেতার বাড়িতে ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূলই

TMC inner clash in Burdwan: এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, "এটা দুই মডেলের লড়াই। একদিকে বান্টি বিধায়ক খোকন দাসের লোক। অন্যদিকে সাহেব যুব জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদারের লোক। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট আর পুকুর ভরাটের জন্য এই লড়াই। দু'পক্ষই এলাকার দখল কায়েম করতে চায়।"

Burdwan: আতঙ্কে রয়েছি, শাসকদলের যুব নেতার বাড়িতে ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূলই
আতঙ্কে রয়েছেন ওই যুব তৃণমূল নেতার পরিবারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 30, 2025 | 7:48 PM

বর্ধমান: বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সভাপতির বাড়িতে রাতের অন্ধকারে আক্রমণের অভিযোগ বর্তমান যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বর্তমান যুব সভাপতি। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

বর্ধমানের রসিকপুর এলাকাটি তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। অভিযোগ, এলাকার দখল নিয়ে দুই যুব গোষ্ঠীর কোন্দল শুরু হয়েছে। ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি শেখ সাহেবের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বলেন, শুক্রবার রাতে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গেটে ভাঙচুর করা হয়। চারটি সিসিটিভি ও পাইপলাইন ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি জানান, ভয়ে বাচ্চারা কান্নাকাটি করছিল। তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তাঁর স্বামীকে খুন করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ রোজিনার।

শেখ সাহেব বলেন, তিনি আগে ওয়ার্ডের যুব সভাপতি ছিলেন। ২০২১ সালে বাইরে থেকে এসে শেখ বান্টি হঠাৎ পদ পেয়ে যান। এখন আবার পদ হারাবার ভয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলে হামলাকারীরা চলে যায়। তাঁর অভিযোগ, বান্টি বহিরাগত। এলাকায় তোলাবাজি করেন। তার প্রতিবাদ করাতেই এই আক্রমণ।

অন্যদিকে বর্তমান যুব সভাপতি শেখ আজহারউদ্দিন ওরফে বান্টি বলেন, “সাহেব ও মেহরাজ রোজ রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। সেসময় মহিলা সহ অন্যদের টিটকারি কাটেন। গতকাল রাতে তার প্রতিবাদ করেন এলাকার কিছু মানুষ। সেই নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। আমি ঝামেলায় ছিলাম না।” সাহেবের বাড়িতে এর আগেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাও অস্বীকার করেন বান্টি।

এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, “এটা দুই মডেলের লড়াই। একদিকে বান্টি বিধায়ক খোকন দাসের লোক। অন্যদিকে সাহেব যুব জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদারের লোক। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট আর পুকুর ভরাটের জন্য এই লড়াই। দু’পক্ষই এলাকার দখল কায়েম করতে চায়।”

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবু টুডু বলেন, “এসব পাড়ার বিবাদ। এখন সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের লোক। এর মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও বিষয় নেই।”