AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Body Recover: ‘পিকনিকে গেলে ড্রিঙ্ক করতেই হবে?’, চোরাবালি থেকে টেনে তোলা হল দুই যুবকের দেহ

Memari: স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম ঘোষ বলেন, "বাঁধের গায়ে কয়েকজন পিকনিক করতে এসেছিলেন। খাওয়ার পর সকলে মিলে বাসন মাজতে যায়। মনে হচ্ছে দু'জন ড্রিঙ্ক করেছিল। কোনওভাবে তলিয়ে যায়। মর্মান্তিক ঘটনা। তবে আমাদের একটাই কথা, পিকনিক করতে এলেই কি নেশা করতে হয়? নেশাগ্রস্ত ছিল বলেই এমনটা হল।"

Body Recover: 'পিকনিকে গেলে ড্রিঙ্ক করতেই হবে?', চোরাবালি থেকে টেনে তোলা হল দুই যুবকের দেহ
নদীতে তখনও তল্লাশি চলছে। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2024 | 9:58 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: হুগলি থেকে মেমারিতে পিকনিক করতে গিয়েছিল একটি দল। দামোদরের তীরে পিকনিক করতে গিয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। দু’জনই ৩৩ বছরের যুবক। রবিবার মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে মেমারি থানার পাল্লারোড সংলগ্ন এলাকার দামোদর বাংলোঘাটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের নাম সাগর দাস (৩৩) ও শুভাশিস দাস (৩৩)। হুগলির চণ্ডীতলা থানার বেগমপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। স্থানীয়দের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ওই যুবকরা।

রবিবার সকালে বেগমপুর থেকে ২০-২২ জনের একটি দল পিকনিক করতে আসে দামোদরের ধারে। প্রতি বছরই এই সময়টা পিকনিকপার্টির ভিড় থাকে এখানে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে দামোদরে স্নান করতে নেমেছিলেন সাগর ও শুভাশিস। এদিকে প্রচণ্ড চোরাবালি নদীতে। তাতেই কোনওভাবে তলিয়ে যান।

খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকজনও আসেন সেখানে। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রথমে শুভাশিসের দেহ উদ্ধার হয়। এরপর সাগরেরও নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, এখানে পিকনিক করতে এসে অনেকেই নেশা করেন। স্বভাবতই নেশার মাত্রা অতিরিক্ত হলে হুঁশ থাকে না, নিয়ন্ত্রণ থাকে না শরীরেও। এদিনও তেমনই কিছু ঘটেছে বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম ঘোষ বলেন, “বাঁধের গায়ে কয়েকজন পিকনিক করতে এসেছিলেন। খাওয়ার পর সকলে মিলে বাসন মাজতে যায়। মনে হচ্ছে দু’জন ড্রিঙ্ক করেছিল। কোনওভাবে তলিয়ে যায়। মর্মান্তিক ঘটনা। তবে আমাদের একটাই কথা, পিকনিক করতে এলেই কি নেশা করতে হয়? নেশাগ্রস্ত ছিল বলেই এমনটা হল।”

খবর পেয়েই বাড়ির লোকেরা এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। জয়দেব দাস নামে এক আত্মীয় বলেন, “পিকনিক করতে এসেছিল। পরে আড়াইটের সময় খবর পেলাম এই ঘটনা। স্নান করতে নেমে চোরাবালিতে ঢুকে গিয়েছে বলে শুনলাম।” অন্যদিকে নিহতদের তুতো ভাই অসিত দাসের বক্তব্য, “পিকনিক করতে পাল্লা রোডে আসে। এরপরই খবর পাই দু’জন তলিয়ে গিয়েছে। আমার কাকার ছেলে, জ্যেঠুর ছেলে ওরা।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।