AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Water Therapy: গরম জলে গা ডোবালেই সেরে যাচ্ছে সুগার-প্রেসার-কিডনির রোগ! অবাক করা চিকিৎসা বর্ধমানে, চোখ কপালে প্রশাসনের

Water Therapy: থেরাপি সেন্টারের কর্ণধার কবিরাজ বিধানচন্দ্র মান্না বলছেন, "এটা হল ওয়াটার থেরাপি অর্থাৎ জল চিকিৎসা। এটা বহু পুরনো একটা চিকিৎসা পদ্ধতি। জ্বর থেকে শুরু করে ক্যান্সার সবকিছুর চিকিৎসা করা হয়।"

Water Therapy: গরম জলে গা ডোবালেই সেরে যাচ্ছে সুগার-প্রেসার-কিডনির রোগ! অবাক করা চিকিৎসা বর্ধমানে, চোখ কপালে প্রশাসনের
গরম জলে থেরাপিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 17, 2025 | 1:54 PM
Share

বর্ধমান: চিকিৎসা পদ্ধতি দিনে দিনে আধুনিক হচ্ছে। অনেক কঠিন রোগ নিরাময় হচ্ছে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে। তারই মধ্যে এক অদ্ভুত চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা বিধানচন্দ্র মান্না। তিনি নিজেকে কবিরাজ বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র জল দ্বারা চিকিৎসা করেই দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময় করা সম্ভব। অনেক রোগীই জানাচ্ছেন, তাঁরা এই চিকিৎসায় সেরেও উঠছেন।

হার্ট, কিডনি, লিভার, ব্রেস্ট টিউমার, জরায়ুর টিউমারে আক্রান্ত রোগী হাজির হচ্ছেন ওই চিকিৎসা করাতে। এমনকী গর্ভবতী হতে যাদের সমস্য়া হচ্ছে, তাঁরাও উপকৃত হচ্ছেন বলে দাবি বিধানচন্দ্র মান্নার। এই পদ্ধতির নাম ‘ওয়াটার থেরাপি’। মাত্র ২-৩ ঘন্টা গরম জলে ডুবে বসে থাকলেই সব রোগের সমাধান! খেতে হচ্ছে না ওষুধও! শুধু তাই নয়, হাতে-পায়ে ইলেকট্রিক শক দিয়েও চলছে চিকিৎসা।

পূর্ব বর্ধমানের গাংপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই জল চিকিৎসার খবর এখন মুখে মুখে ফিরছে। ব্যানারে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘জল চিকিৎসা’।

প্রশ্ন উঠছে বর্তমানে বিজ্ঞানের যুগে কীভাবে এই চিকিৎসা চালাচ্ছেন কবিরাজ? প্রশাসনের নজরদারির কি অভাব রয়েছে? চিকিৎসা করাতে এসে অনেকেই জানাচ্ছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট রোগের জন্য ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।

থেরাপি সেন্টারের কর্ণধার কবিরাজ বিধানচন্দ্র মান্না বলছেন, “এটা হল ওয়াটার থেরাপি অর্থাৎ জল চিকিৎসা। এটা বহু পুরনো একটা চিকিৎসা পদ্ধতি। জ্বর থেকে শুরু করে ক্যান্সার সবকিছুর চিকিৎসা করা হয়। এমনকী সুগার, থাইরয়েড, ব্লাডপ্রেসারের মতো সমস্যার সমাধান হচ্ছে এই হট ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে।” তাঁর দাবি, বেশিরভাগ রোগ চার মাসের মধ্যে সেরে যাচ্ছে। খরচও খুব বেশি নয়।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় জানান, এভাবে জল দিয়ে চিকিৎসার কথা তাঁর জানা নেই। সকলকে এই বিষয়ে সচেতন হতে বলেছেন তিনি। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রমের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই চিকিৎসার বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। আমি খবর নিয়ে দেখছি।”

এদিকে, চিকিৎসক ড. এস আর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা থেরাপি। এটা চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। এই ওয়াটার থেরাপি বা হাইড্রো থেরাপি করে কোনও রোগ সেরে যাচ্ছে, এরকম কোনও ব্যাখ্যা কোথাও লেখা নেই। কেউ যদি কিছু দাবি করে থাকে সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত দাবি। এটা বুজরুকি ছাড়া আর কিছু নয়।”