Shoot at habra: ‘লোকজন ডাকলে তোমাকেও শুট করে দেবো’, হাবড়ায় পরপর গুলি দুই ভাইকে
Burdwan: গত বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভালকি থেকে মণি দাস স্ত্রীকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে শ্বশুরবাড়িতে যান। সঙ্গে তাঁর ভাইও ছিলেন।
পূর্ব বর্ধমান: মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ দুই ভাই। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা (Habra Shoot) থানার জিওলডাঙায় ঘুরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন শ্রীমান দাস ও মণি দাস। তাঁরা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা। হাবড়া হাসপাতালে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। কী কারণে এই গুলির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। গুলিবিদ্ধ যুবকদের মায়ের দাবি, প্রথমে ছোট ছেলেকে গুলি করা হয়। ভাইয়ের চিৎকার শুনে বাঁচাতে এলে গুলি করা হয় বড়জনকে। এমনকী ঘটনাস্থলে শ্রীমানদের মামিমা এসে হাজির হলে, তাঁকেও গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর সোমবারও থমথমে আউশগ্রামের দাসবাড়ি। দুই ছেলের এমন অবস্থায় অঝোরে কেঁদে চলেছেন মা রূপা দাস। তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়ে কেন ছেলেদের এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হল, বুঝেই উঠতে পারছেন না তিনি।
সূত্রের খবর, মণি দাসের হাতে গুলি লেগেছে। শুকদেবের গুলি লেগেছে বাঁদিকের পাঁজরে। দুষ্কৃতীরা হেলমেট দিয়ে শুকদেবের মাথাও ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কেড়ে নেয় তাঁর মোবাইল ফোন। প্রশ্ন উঠছে, নিছক মোবাইল হাতাতেই এই ঘটনা। নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই দুই ভাই চেন্নাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন।
গত বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভালকি থেকে মণি দাস স্ত্রীকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে শ্বশুরবাড়িতে যান। সঙ্গে তাঁর ভাইও ছিলেন। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার মামার বাড়ি জিওলডাঙা গ্রামে যান তাঁরা। সেখানেই তিনদিন ছিলেন। রবিবার মামার বাড়ি থেকে পাশেই মাসির বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেই সময় স্থানীয় নবোদয় ক্লাবের সামনে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
আহত যুবকদের মা রূপা দাস বলেন, “রাতে ভাই ফোন করে। তখন গুলি লাগার কথা বলেনি। বলে, মারপিট হয়েছে। এরপর অনেক রাতে ফোন আসে। বলা হয়, দুই ছেলের গুলি লেগেছে। একজনের গুলি বেরিয়েও গিয়েছে। আরেকজনের এখনও বের করা যায়নি। কীসের জন্য এই ঘটনা বুঝলামই না। আমার ভাই বলল, ওরা মেলায় যাবে বলে বেরিয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে চলেও আসে। এরপর আমার বড়দির বাড়িতে খেতে যায়। ভাইয়ের বউ আর বড় ছেলে বড়দির ঢুকলেও সে সময় ছোটজন পাশেই মেজদির বাড়ি যাবে বলে বেরোয়। তারপরই এই ঘটনা। কয়েকজন বাইকে এসে ছোট ছেলের মোবাইলটা কাড়তে চেষ্টা করে। তা নিয়ে বচসা হওয়ায় ওকে গুলি করে। এরপর বড় ছেলে এলে ওকেও লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ভাইয়ের বউও চিৎকার করতে থাকে বলে, ওকে বলেছে যদি লোকজন ডাকো তোমাকেও শুট করে দেবো।”