AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Awas Yojona: আবাস যোজনায় অবাককাণ্ড! তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেল একটা গোটা ব্লক

Purba Burdwan: জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি জানান, এ নিয়ে তাঁরা কেন্দ্রকে জানিয়েছে। চিঠিচাপাটি করেও লাভ হয়নি।

Awas Yojona: আবাস যোজনায় অবাককাণ্ড! তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেল একটা গোটা ব্লক
গলসিতে আবাস যোজনায় নয়া বিতর্ক।
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 12:05 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: আবাস যোজনার (Awas Yojona) তালিকা থেকে বাদ গোটা একটা ব্লক। আবাস যোজনা নিয়ে নানা অভিযোগের মধ্যে এবার গলসি-২ ব্লকে নতুন বিতর্ক। সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনা তালিকা থেকে গলসি-২ ব্লকের উপভোক্তারা বাদ গিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন এমন ঘটনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। গলসি-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জীব সেনের বক্তব্য, ২০১৮ সালে যখন আবাস যোজনায় বাড়ির এন্ট্রি হয়েছিল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে ব্লকের ১৯ হাজার ৬৩৬ জন উপভোক্তার নাম তোলা হয়েছিল। এখন সেটা ফাঁকা দেখাচ্ছে। গলসি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরীও ২০১৮ সালের কথাই বলছেন। তাঁর কথায়, ২০১৮ সালে নাম তোলা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা ফাঁকা। বাসুদেব চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই আবাস যোজনার তালিকায় অবিলম্বে নাম পাঠানো হোক এখানকার মানুষের।”

গত কয়েকদিনে আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃতই যাঁরা এই ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁরা বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। একইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের স্বজনপোষণেরও। পঞ্চায়েত স্তরের নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে নিজেদের লোকজনকে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এরইমধ্যে একটা ব্লকের একজন উপভোক্তারও নাম তালিকায় না থাকাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক।

এলাকার এক বাসিন্দা পিঙ্কি লোহার জানান, বিডিও অফিসের পাশেই তাঁর বাড়ি। একেবারে মাটির বাড়ির ভগ্নপ্রায় দশা। অথচ তাঁর নাম নেই তালিকায়। আশিকা বাউড়িরও একই অভিযোগ। তিনি আবার প্রধানের দিকে ক্ষোভের আঙুল তুলেছেন। বারবার প্রধানকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি শৈলেন হালদার দাবি করেছেন, বারবার চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কাজ হয়নি।

অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তাঁ-এর প্রতিক্রিয়া, প্রশাসনিক অপদার্থতার জন্যই এই অবস্থা। তাঁর খোঁচা, যোগ্যদের পাশে সরিয়ে রেখে অযোগ্য লোক দিয়ে কাজ করালে যা হয়, এটাও তাই হয়েছে। যুব কংগ্রেসের গৌরব সমাদ্দারের কথায়, “আবাস যোজনা মানেই তাঁকে তৃণমূল হতে হবে। না হলে তালিকায় নাম থাকবে না।”

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “২০১৯ সালে পোর্টালে কাজের সময় টেকনিকাল কারণে গোটা জেলার ৪৪ হাজার মানুষের নাম নেই। তার মধ্য়ে গলসি ২ নম্বর ব্লকের সব নাম উড়ে গিয়েছে। আমরা বারবার চিঠি করেছি কেন্দ্রীয় সরকারকে। রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছে যেহেতু টেকনিক্যাল কারণে নাম বাদ গিয়েছে, যেন নতুন করে নাম নেওয়া হয়। কেন্দ্র অনড় নতুন করে নাম নেবে না। এটা তো টেকনিক্যাল কারণে হয়েছে, আমাদের তো দোষ নয়। কেন্দ্রের একটু নমনীয় হওয়া উচিৎ। একটা জেলার এত মানুষকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।”