
পূর্ব বর্ধমান: পুরোদমে চলছে এসআইআর। বাংলায় ঘুরছে কমিশনের ‘স্পেশ্যাল ১৩’। এদিনে বর্ধমানে যান পর্যবেক্ষক টিমের মাথা সুব্রত গুপ্ত। সেখানেই প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে যেমন কথা বলেন, তেমনই বৈঠকে ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এদিকে ইতিমধ্যে আরও ১১ রাজ্যের মতো বাংলাতেও বেড়েছে এসআইআরের সময়সীমা। এদিকে এসআইআর পর্বের শুরু থেকেই বাংলার বুকে উঠেছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। অতিরিক্ত কাজের চাপের জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিএলও-রা। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহল থেকেও উঠেছে নানবিধ বেনিয়মের অভিযোগ। সবটা নিয়ে কী ভাবছে কমিশন?
বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত বলছেন, “এটা একটা চলমান প্রসেস। আমরা যত পদ্ধতির মধ্যে ঢুকছি ততই বিভিন্ন লোকের মতামত পাচ্ছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত পাচ্ছি। তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, খতিয়ে দেখে যদি কোনও কোনও জায়গায় মনে হয় কিছু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত চেক করলে রোলটা আরও ঠিকঠাক হবে তাহলে সেই সমস্ত পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।” একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “বিভিন্ন অভিযোগের সারবত্তা পাওয়া গেল কী গেল না তা তো এই সময় বলা সম্ভব নয়। রোল চেক না করে কোনও অভিযোগ গ্রহণ বা খারিজ করার কোনও জায়গাই নেই। আগে আমাদের রোলটা দেখতে হবে। গুণমান আরও যাতে উন্নত করা যায় তার জন্য ইআরও-দের কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে সাম্প্রতিককালে নানা প্রান্তে বিএলও-দের উপর তৃণমূলের চাপ দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। এরকম অভিযোগ যে এসেছে তা মানছেন সুব্রত গুপ্ত। তিনি বলছেন, “এরকম কিছু অভিযোগ এসেছে। সব খতিয়ে দেখার পর ফাইনাল লিস্ট তো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ফাইনাল লিস্ট দেওয়া হবে। পাবলিশও হবে সেখানে কোনও বেনিয়ম থাকলে আবার চেক করতে হবে।”
এদিকে এসআইআরের মাঝপথে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক মহল তো বটেই রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কিন্তু গোটা বিষয়টিকে সুব্রতবাবু কীভাবে দেখছেন? তিনি যদিও বলছেন, “নির্বাচন কমিশন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডে আমাদের অ্য়াপয়েন্ট করেছেন বলতে পারব না। তবে তারা চাইছেন কাজটা সুষ্ঠভাবে হোক। কোনও কাজই তো ফাইনাল ওয়ার্ক নয়। এরপরেও স্ক্রুটিনি হতে পারে। তার মানে কী বিএলও কাজ করেননি? ভুল হতেই পারেই কোনও কোনও ক্ষেত্রে, সেই ভুলগুলো যাতে ঠিক করা যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে।”