পটাশপুর : পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রিভলভার। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করেছে পটাসপুর থানার পুলিশ।
বুধবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা এক যুবকের দেহ কেলেঘাই নদীর ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। ওই যুবককে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত ওই যুবকের নাম বাপি নায়েক। বাড়ি পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের বিশ্বনাথপুর গ্রামে।
স্থানীয়দের অনেকেই জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে গুলির আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। তারপরে সকালে নদীর পাড়ে যুবকের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবক তাঁর বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছিলেন । বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং ছোট দুই শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই গুলি কাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও কারণ জড়িত নেই বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই। ব্যবসায়ী মানুষ। পারিবারিক ঝগড়াও হতে পারে।
আবার পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ক্রমেই দুস্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ একাংশের। মাঝে মধ্যেই ছিনতাইবাজের হানার খবর পাওয়া যায়। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই পটাশপুর থানার ওসিকে লক্ষ করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তপ্ত হয়েছিল পটাশপুর। রাতভর বোমাবাজি চলেছিল পটাশপুর ও আশেপাশের এলাকায়। বোমার ঘায়ে জখম হয়েছিলেন পটাশপুর থানার ওসি দীপক কুমার চক্রবর্তী। জখম হয়েছিলেন আরও দুই পুলিশকর্মী।
তারপর ফের আজ এই যুবককে গুলি করার ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পটাশপুর এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঠিক কী কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছে না পটাশপুর থানার পুলিশকর্মীরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে, তারপরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
আরও পড়ুন : Shootout in Asansol: চলছিল অনলাইন কোচিং ক্লাস, আচমকা গুলির শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা!