AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mystery Death: দিঘায় বেড়াতে এসে কন্যাহারা শিলিগুড়ির দম্পতি, উধাও হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ!

Child Death: নিউ দিঘার একটি হোটেলে দরদাম না পোষালে সেখানে স্ত্রী ও মেয়েকে বসিয়ে রেখেই অন্য হোটেলের খোঁজে যান অভিজিৎবাবু।

Mystery Death: দিঘায় বেড়াতে এসে কন্যাহারা শিলিগুড়ির দম্পতি, উধাও হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ!
বালিকার মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 10:37 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: কোভিড নিয়ম শিথিল হতেই মানুষ প্রকৃতির খোলা হাওয়ায় নিজেদের মেলে ধরেছে। এক দিকে পাহাড়, অপরদিকে সমুদ্রে ভিড় করেছে আপামর বাঙালি। পুজোর ছুটিতে পাহাড় থেকে সমুদ্রের আনন্দ নিতে দিঘায় (Digha) হাজির হয়েছিল শিলিগুড়ির (Siliguri) পাল পরিবার। কিন্তু ছুটি কাটাতে এসে হারাতে হল পরিবারের খুদে সদস্যকে। আঙুল উঠল এক হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই।

ঠিক কী ঘটেছিল?

জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটিতে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন শিলিগুড়ির পাল পরিবার। হোটেল বুক করতে গিয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। হোটেলের সুইমিং পুলে ডুবে জনৈক অভিজিৎ পালের ৭ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। এই মর্মেই নিউ দিঘার (New Digha) এক হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করলেন তিনি। সেই অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিঘা থানার পুলিশ। কিন্তু এর মধ্যে অভিযোগ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আড়াল করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

কীভাবে দুর্ঘটনা হল, সেদিন কী হয়েছিল, এসব বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখতে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কর্মচারীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সরিয়ে দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, গত ১৫ অক্টোবর শিলিগুড়ির রথখোলার বাসিন্দা অভিজিৎ পাল ও স্ত্রী এবং তাঁদের ৭ বছরের মেয়ে আদিত্ৰী পালকে নিয়ে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও দুটো পরিবারও এসেছিল সেদিন। সেই ১৪ অক্টোবর দিঘায় এসে প্রথমে তাঁরা ওল্ড দিঘার একটি হোটেলে ওঠেন। তার পর দিন, অর্থাৎ, ১৫ অক্টোবর নিউ দিঘায় থাকার জন্য অন্য একটি হোটেলের খোঁজ শুরু করেন অভিজিৎবাবুরা। নিউ দিঘার একটি হোটেলে দরদাম না পোষালে সেখানে স্ত্রী ও মেয়েকে বসিয়ে রেখেই অন্য হোটেলের খোঁজে যান অভিজিৎবাবু।

আর সে সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। সকলের নজর এড়িয়ে খেলতে খেলতে হোটেলের সুইমিং পুলে গিয়ে পড়ে যায় ৭ বছরের শিশুকন্যা। তাঁকে পরে উদ্ধার করে দিঘার হাসপাতাল এবং পরে কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছুটি কাটাতে এসে মৃত শিশুকে নিয়ে হাহাকার করতে করতে বাড়ি ফিরে যেতে হয় অভিজিৎবাবুদের।

এদিকে শুক্রবার ফের দিঘায় এসে থানায় যান অভিজিৎবাবু। এবার হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই আমার মেয়েকে হারালাম। সুবিচারের চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’ তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত চলছে জানিয়ে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি তারা।

এদিকে এই বিষয়ে কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা জানান, মৃত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এবং তাঁরা ইতিমধ্যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তও শুরু করে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে তা ল্যাব টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে বাস্তবে কী ঘটনা ঘটেছিল।

আরও পড়ুন: Teesta River: প্লাবনাবস্থা কাটলেও তেষ্টায় গলা শোকাচ্ছে পাহাড়ের!