শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার আসল কারণ জানালেন অভিষেক

প্রায় ছ'বছর পর কাঁথিতে সভা করলেন অভিষেক। কাঁথিতে তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি শব্দের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার আসল কারণ জানালেন অভিষেক
কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Updated on: Feb 06, 2021 | 4:00 PM

কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারী কেন তৃণমূল ছাড়লেন, শুভেন্দুর খাস তালুকে দাঁড়িয়ে সে কথাই ‘ফাঁস’ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দল ছাড়ার পর থেকেই ‘ভাইপো’ এবং তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতার নেতৃত্বকে বারেবারে চরম আক্রমণ করেছেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। এমনকী অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে গিয়েও তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানিয়েছেন অধুনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী আসলে কেন তৃণমূল ছেড়েছেন সে কথা শনিবার স্পষ্ট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

জেলার পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ার কারণেই রাগে শুভেন্দু ‘সাত তাড়াতাড়ি’ বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বলে দাবি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের। শনিবার কাঁথির দইসাইয়ে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “ওনার কেন এত গাত্রদাহ তা কি বুঝি না। অবজারভার মডেল তুলে দেওয়ার জন্য রাগ হয়েছে। কেন অন্য জেলা থেকে নেতা এসে দেখবে। জেলার নেতারাই তো রয়েছেন। আসলে উনি তো পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের অবজারভার ছিলেন। এ জেলায় ১৬টি বিধানসভা আসন। মুর্শিদাবাদে ২২টি, মালদহে ১২টি, উত্তর দিনাজপুরে ৯টি। উনি ভেবেছিলেন এখান থেকে ৩০-৩৫টা জিতে বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। কিন্তু সে গুড়ে তো বালি পড়ে গিয়েছে। তাই এত রাগ।”

আরও পড়ুন: পিসি ভাইপোকে এবার হাত জোড় করবেন বাংলার জনতা : নাড্ডা

উল্লেখ্য, শুভেন্দু বারবারই অভিযোগ তোলেন, এ রাজ্যের সরকার চালায় তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতার কতিপয় নেতা। এ কথা বলে নিজেকে গ্রামের পান্তাভাত খাওয়া ছেলে তথা জেলার রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে তুলে ধরে বারবার আক্রমণ শানাতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলেও অধিকারী-পুত্রকে এক হাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এখানে তো অধিকারী অ্যান্ড কোম্পানি সবটা নিয়ে বসেছিল। এক বাড়িতে এতগুলো পদ। আর তোমার যখন এতই রাগ, নাও এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। নেত্রী তো নিজে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াচ্ছেন। এবার গ্রামের মানুষই মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচিত করবেন।”

প্রায় ছ’বছর পর কাঁথিতে সভা করলেন অভিষেক। কাঁথিতে তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি শব্দের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘অধিকারী গড়’-শব্দে তীব্র আপত্তি তুলে এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “অধিকারী গড় আবার কী। এটা জেলার মানুষের গড়। ফেসবুকে ভিডিয়ো ছেড়ে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। শান্তিকুঞ্জের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, হিম্মত থাকলে যা করার করে নিও। চার আনার নকুল দানা, তার আবার ক্যাশমেমো।”