Nandigram Police : ঘুরছিলেন নন্দীগ্রামের রাস্তায়, পুলিশের উদ্যোগেই ঘর খুঁজে পেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন গুজরাটি মহিলা
Nandigram Police : সাহায্যের হাত বাড়ল পুলিশ, ৬ বছর পর পরিবার খুঁজে পেল মানসিক ভারসাম্যহীন গুজরাটি মহিলা
নন্দীগ্রামে : প্রায় ৬ বছর পর নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানার পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের কাছে ফিরলেন গুজরাটের (Gujarat) এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। তাঁকে ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশি পরিবারের সদস্যরা। গুজরাটের দাহুদ জেলার চাকুলিয়া রোড এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম ধানিবেন আমারভি ভাভর (৫৩)। সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে একটি দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পান তিনি। তারপর থেকে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজন বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাননি। এদিকে এরইমধ্যে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম থানার তারাচাঁদবাড় এলাকায় এক মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখানেই রাস্তায় রাস্তায় থাকতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে জুটত খাওয়া-দাওয়া।
এরইমধ্যে আচমকা একদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তাঁর আসল নাম-ঠিকানা জানারও চেষ্টা করা হয়। হলদিয়ার একটি হোমে পাঠানো হয় ওই মহিলাকে। সেখানে নিয়মিত কাউন্সিলিং চলত তাঁর। এরপর গত জানুয়ারিতে নিজের নাম-পরিচয় সঠিকভাবে জানাতে সক্ষম হন মহিলা। হোম কর্তৃপক্ষ সে কথা জানায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে। এরপরই পুলিশের তরফে ওই মহিলার বলা ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজখবর শুরু করে। জেলা পুলিশের তরফে গুজরাটের দাহুদ জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপরেই পাওয়া যায় মহিলার পরিবারের সন্ধান। বুধবার ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা হলদিয়ায়র ওই হোমে আসেন। সেখান থেকে ওই মহিলাকে তাঁর পরিবারের লোকজন নিয়ে যান। দীর্ঘদিন পর ধানিবেনকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ও হোম কর্তৃক্ষকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁর স্বামী ভাভর আমারভি কালিয়াভাই। মহিলাকে পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে খুশি নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ কর্তারাও। ঘটনা প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম থানার আইসি সুমন রায় চৌধুরী বলেন, “গত জানুয়ারিতে ওই মহিলার নাম পরিচয় জানতে পারি আমরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই মহিলার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। এদিন পরিবারের লোকজন এসে ওই মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে যান। মহিলাকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পেরে আমরা খুশি।”