AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Illegal Construction: সরকারি জায়গায় দোকানঘর তৈরি করে লাখ টাকায় বিক্রি করছেন কাউন্সিলর! বিস্ফোরক অভিযোগ

Illegal Construction: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পুরপিতা বলছেন, কেউ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Illegal Construction: সরকারি জায়গায় দোকানঘর তৈরি করে লাখ টাকায় বিক্রি করছেন কাউন্সিলর! বিস্ফোরক অভিযোগ
এভাবেই তৈরি হচ্ছে দোকানঘর
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 11:53 AM
Share

কাঁথি : নয়ানজুলি বুজিয়ে দিয়ে তার ওপর তৈরি করা হচ্ছে পাকা দোকান। আর সেই দোকান বিক্রি করা হচ্ছে অন্তত ১ লক্ষ টাকা করে। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। রবিবার পরিবেশ দিবসে যখন তৃণমূল জেলা জুড়ে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিয়েছে, তারই মধ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি। সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কাটমানি খেয়ে পুরসভা থুঁটো জগন্নাথ হয়ে আছে বলেও কটাক্ষ বিজেপির।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর পাড়া থেকে গাছ লাগানোর বার্তা দিয়েছে কাঁথি পুরসভা ও পুলিশ- প্রশাসন। সেই কর্মসূচিত অংশ নিয়েছিলেন, কাঁথি পুরসভার পুরোপিতা সুবল মান্না, উপ পুরপিতা সুপ্রকাশ গিরি, কাউন্সিলর তনুশ্রী চক্রবর্তী, রুমা দাস। এ ছাড়াও ছিলেন, কাঁথি থানার আই সি অমলেন্দু বিশ্বাস সহ অনেক বিশিষ্ট জনেরা। অপরদিকে বিজেপির পক্ষ থেকেও কাঁথির রাঙামাটিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে চলে পরিবেশ দিবস উদযাপন। আর সেই কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপি অভিযোগ করে, ঘটা করে পরিবেশ দিবস উদযাপন করে, আর ক্ষমতা অপব্যাবহার করেই নিজেরাই পরিবেশ নষ্ট করে শাসক দল। প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট, ভূমির চরিত্র বদল, খাল, বিল ও নয়ানজুলি জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাঁথি- মেদিনীপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় মা কালি ফুড প্রোডাক্টের কাছে কিছু দোকানঘর তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। সেগুলি বেআইনিবাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশীল দাস। তিনি বলেন,’পুরপিতা সব কিছু জেনেও থুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছেন।’ তাঁর দাবি, গোটা দলটাই কাটমানির ওপর চলছে। যেখানে নির্মাণ চলছে, সেটা পূর্ত দফতরের জায়গা বলেই অভিযোগ। একাধিক জায়গায় এ ভাবে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এই প্রসঙ্গে, কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না বলেন, সবে মাত্র ২ মাস হল এই পুরবোর্ড তৈরি হয়েছে। একটু সময় দিন আমরা চেষ্টা করছি। এই সব দুর্নীতিতে যাঁরাই যুক্ত হবে, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হবেই। পাশাপাশি কাঁথি পুরসভাকে দুর্নীতি মুক্ত করব। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্লাস্টিক-মুক্ত কাঁথি উপহার দেবেন বলেও বার্তা দেন তিনি। চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১০ টি করে গাছ লাগানো হবে। কাঁথি শহরে দোকানদারদের হুঁশিয়ারি দেন যাতে অবিলম্বে প্লাস্টিক বন্ধ করা হয়।

কাঁথি পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘পরিবেশ সচেতন থাকবেন। গাছ লাগান জীবন বাঁচান। কাঁথি শহরের সমস্ত মানুষকে সচেতন করছি। শীঘ্রই শিশু ও বৃদ্ধদের পার্ক তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন সুপ্রকাশ গিরি।’