BJP: ভগবানপুরে দলীয় কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি, ১০ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক বিজেপির

Purba Medinipur: ভাইফোঁটার দিন খুন হন চন্দন মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। ওইদিন সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

BJP: ভগবানপুরে দলীয় কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি, ১০ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক বিজেপির
মৃত চন্দন মাইতির দেহ মুড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 2:00 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ফের খুনের ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur)। এবার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন বিজেপি কর্মীকে (Bjp Worker)। তৃণমূলই এই কাজ করেছে অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ১০ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিল বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।

রবিবার মৃত বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতির বাড়িতে যান পুরুলিয়ার সাংসদ জ্য়োতির্ময় সিং মাহাত। তিনি বলেন, “আমাদের পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। পুলিশ এর তদন্ত করবে না। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। যেভাবে আমাদের কর্মীকে টেনে এনে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাতে সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এমনিতেও নানা জায়গায় তদন্ত করছেন, আমরা চাই ভগবানপুরেও আমাদের দলের কর্মী খুনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করুন। পাশাপাশি, গোটা ভগবানপুর জুড়ে ১০ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছি আমরা।”

ভাইফোঁটার দিন খুন হন চন্দন মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। ওইদিন সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। ভগবানপুর থানার পুলিশ পৌঁছে যায় ওই এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।

বিজেপির অভিযোগ, চন্দনকে রাস্তা থেকেই তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁরাই প্রথমে পেটানোর পর ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই বিজেপি কর্মীকে।

এই ঘটনায় এক বিজেপি কর্মী বলেন, “রাত দশটা নাগাদ রাস্তা থেকে চন্দনকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নদীপারে নিয়ে গিয়ে  মারধর করে। তারপর চন্দনকে  নান্টু কলেজের কাছে ফেলে রেখে দেওয়া হয়। আমাদের স্থানীয় কর্মীরা ভয়ে ওই এলাকায় যেতে পারেনি। এরপর ফোন আসে আমার কাছে। তখনই খবর পাই। ভগবানপুর থানার ওসিকে আমি ফোন করি। উনি জানান যে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ওঁকে আর বাঁচানো যায়নি। এই নিয়ে দু’বার একই ঘটনা হল। এর আগেও একবার ওঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আসলে এলাকাবাসীর পাশে ছিল চন্দন। তাই একপ্রকার সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।” যদিও  এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, বিভিন্ন সময়েই তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভগবানপুর-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা। এর আগে ভোটপরবর্তী হিংসা তদন্তে এগরা ও নন্দীগ্রামে এসেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি খুনে নাম জড়িয়েছে খোদ তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের। যদিও, ভগবানপুরে বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। গোটা ঘটনাই ভগবানপুর পুলিশের তদন্তাধীন।

আরও পড়ুন: Crime: বাজির আওয়াজে কেঁপে কেঁপে উঠছে শিশুরা, প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে হাঁসুয়ার কোপ তৃণমূল নেতার!