পূর্ব মেদিনীপুর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) এপিসেন্টার ছিল নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামের বয়ালেই ২৭মার্চ প্রথম দফা নির্বাচনে তিন তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই হামলায় গুরুতর জখম হন মমতার এক সৈনিক রবীন মান্না। তাঁর আঘাত গুরুতর হওয়ায় নন্দীগ্রাম থেকে এসএসকেএমে আনা হয়। প্রায় চোদ্দ দিন মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন রবীন। তারপর সব শেষ! রবীনের মৃত্যুতে কেবল শোক প্রকাশ করেননি তৃণমূল সুুপ্রিমো, তৃণমূল ক্ষমতায় সিআইডি এই ‘খুনের’ তদন্ত করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। অবশেষে ফলল তাঁর কথাই। শুক্রবার, কাঁথি মহকুমার হেড়িয়া থেকে রাধাকান্ত দাস নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল সিআইডি।
এদিন, অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী রাধাকান্ত দাসকে হলদিয়া আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দশ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রাখবে সিআইডি। সূত্রের খবর, রবীন মান্না-সহ আরও সেদিন আরও যে দুই তৃণমূল কর্মী আহত হন, তাঁদের সঙ্গেও প্রয়োজনে কথা বলতে পারেন তদন্তকারীরা। এর আগেও এই ঘটনায় আরও এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ঘটনায়, বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “এরা তো যাকে পারে তাকে গ্রেফতার করে ঝামেলা করে। সংগঠনকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। সেই ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। প্রায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআরে নাম নেই, নাম জুড়ে দিচ্ছে। যা ইচ্ছে তাই করছে।”
পাল্টা, জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন বলেন, “রাজ্যের এজেন্সি হলে তদন্ত ভুল আর কেন্দ্রের এজেন্সি হলে তা সঠিক, এই কথা বলা ভুল। রাজ্য় এজেন্সিও নিয়ম মেনেই কাজ করে। বিজেপির অভিযোগ করা অভ্যাসে পরিণত। ওদের এটাই রাজনৈতিক নেশা। সিআইডির তদন্তে আস্থা রাখা উচিত।” প্রসঙ্গত, রবীন মান্না এসএসকেএমে ভর্তি থাকাকালীন রোজ তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন আবহেই রবীন মান্নার বাড়িতেও গিয়েছিলেন মমতা। তারপরেই জনসভায় সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে জানিয়েছিলেন এই ঘটনার তদন্ত হবে।
আরও পড়ুন: দরকারে ‘দেখা মিলত না’ তাঁর, ‘অপবাদ’ ঘুচিয়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী