‘লোডশেডিং করে জেতানো হয়েছে শুভেন্দুকে’, এই অভিযোগে সকাল থেকে বিক্ষোভ-ভাঙচুর নন্দীগ্রামে
নন্দীগ্রাম (Nandigram) ও গণনা কেন্দ্র হলদিয়ায় (Haldia) চলছে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বিক্ষোভ। ইভিএম স্ট্রং রুমেও নিয়ে যেতে পারছে না কর্মীরা।
নন্দীগ্রাম: ভোট মিটেছে। ফলাফলও প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু অশান্তি থামেনি বাংলায়। ফল প্রকাশের পর সংঘর্ষ, এমনকি মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। আর প্রথম থেকে নজরে থাকা নন্দীগ্রামও (Nandigram) এখনও শিরোনামে। রবিবার দিনভর ফল প্রকাশছে নাটকীয় মোড় নিতে দেখা গিয়েছে এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে। এরপর রাত পোহালেও সোমবার সকাল থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। হলদিয়াতেও চলছে বিক্ষোভ। কারচুপি করে বিজেপিকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কমিশনের (Electon Commission) বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতেই হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলার চেষ্টাও হয়। হাই ভোল্টেজ এই কেন্দ্র থেকে শেষ বেলায় জিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। আর সেই ফল নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, গণনাকেন্দ্রে শেষের দিকে লোডশেডিং করে দেওয়া হয়। আর তারপরই শুভেন্দুকে জয় ঘোষণা করা হয়। এতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগই তুলেছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে কয়েক রাউন্ডের পর এগিয়ে যান মমতা। সবুজ আবীর খেলাও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ১৭ রাউন্ড গণনা শেষে শুভেন্দু অধিকারীকে জয় বলে ঘোষণা করা হয়।
এ দিন সকাল থেকে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের কালিচরণপুর, কেন্দামারি, মনোহরপুর, ও ২নম্বর ব্লকের বলরামপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। এই কটি এলাকাতেই তৃণমূল অনেকটাই শক্তিশালী। সেই এলাকা গুলিতেই তৃণমূল হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, ‘পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’ ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘বিপুল জয়ের জন্য কর্মী-সমর্থকেরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে। তাতে হয়ত কোথাও কোথাও সমস্যা হয়েছে। তবে সবাইকে বলা হয়েছে, কোনও প্ররোচণায় পা না দিতে। এখন কোভিডের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, নেত্রীর সেই নির্দেশ মানতে হবে সবাইকে।’
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর গলায় তার পেঁচিয়ে, পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এ দিকে হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ে রাস্তা আটকে চলছে অবরোধ। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বক্তব্য তাদের অবস্থান- বিক্ষোভ চলতে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পুনরায় গণনার নির্দেশ আসবে। যে রাস্তা কাউন্টিং সেন্টার পর্যন্ত গিয়েছে, সেই রাস্তা আটকে দিয়েছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। গতকাল রাত থেকেই এই অবস্থান চলছে। এমনকি স্ট্রং রুমে ইভিএম নিয়ে যেতে পারছেন না নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।