Purba Medinipur: স্কুলের ভিতর ক্লাস এইটের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, অভিযুক্ত মাস্টারমশাই
তবে শুধু অভিভাবকরাই নয়, এই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একে-একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের এতটাই রোয়াপ যে, স্কুলে প্রধান শিক্ষকের মতো আচরণ করতেন তিনি। এমনকী, তাঁর থেকে ছাড় পাননি একাধিক শিক্ষিকাও।

পূর্ব মেদিনীপুর: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়াল স্কুল শিক্ষকের। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলতেই সেখানে চলে আসেন অভিভাবকরা। এরপর প্রধান শিক্ষককে ডেপুটেশন ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সকলে।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি স্কুলে। সেখানে শরীর শিক্ষার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই রকম গুরুতর অভিযোগ তুলছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছেন শারীরবিদ্যার শিক্ষক। পুজোর আগে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এরপর পুজো মিটতেই স্কুল খোলার দিন অভিভাবকদের একাংশ স্কুলে উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষককে ডেপুটেশন দেন। বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পাশাপাশি,নির্যাতিতার মা-ও গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের না হলেও, ঘটনায় সময় পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত ছিল সেখানে।
তবে শুধু অভিভাবকরাই নয়, এই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একে-একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের এতটাই রোয়াপ যে, স্কুলে প্রধান শিক্ষকের মতো আচরণ করতেন তিনি। এমনকী, তাঁর থেকে ছাড় পাননি একাধিক শিক্ষিকাও। তাঁদের সঙ্গেও কুকর্ম করেছেন তিনি বলে অভিযোগ। এক মহিলা শিক্ষিকাদের গায়েও হাত দিতেন। প্রতিবাদ করলে বলা হত, সন্দীপ ঘোষের মতো পরিণতি হবে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের তরফে বার-বার ডি আই কে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী অভিযুক্ত শিক্ষককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
এক অভিভাবক বলেন, “আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে ডেপুটেশন দিয়েছি।” আরও এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা তো হেডস্যরের সঙ্গে কথা বলেছি। আর তাতে বুঝেছি যে ম্যাডমকে তো হুমকি দিচ্ছে। সঙ্গে হেড স্যরকেও ছাড়ছে না।”
