কাঁথি: কাঁথি (Contai) শহর দীর্ঘদিন ধরে অধিকারী খাস তালুক হিসেবে পরিচিত, সেই শহরেই ধস নামাতে পারে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস। ‘কাঁথি চলো’ ডাক দিয়েছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস।
কাঁথি শহরের ডরমেটরি মাঠে সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। এদিন মাঠ পরিদর্শনে যান কাঁথি সাংগাঠনিক জেলার যুব তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, কাঁথি ১ব্লকের ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাস, তৃণমূল নেতা খোকন চক্রবর্তী, সহ অন্যান্য তৃনমূল নেতৃতরা।
সোমবার সভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। আবারও নেত্রী সায়নী ঘোষের হাত ধরে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বলে সূত্রের খবর ।যদিও এই বিষয় তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পাশাপাশি, কয়েকশো বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে। সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন তৃনমূল কংগ্রেস মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা।
এই প্রসঙ্গে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “কোভিড বিধি মেনেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলেই উপচে পড়বেন তৃণমূল কর্মীরা।”
প্রসঙ্গত, শনিবার তমলুকে নিমতড়ীতে বিজেপির রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিয়েছিলেন “পিকচার আভি বাকি হ্যায় বস।” এদিন বিজেপি’র ‘পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল’-এর সহযোগিতায় ও তমলুক সাংগঠনিক জেলার ‘সেবা হি সংগঠন’-এর উদ্যোগে নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে স্বাস্থ্য শিবির ও স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল তমলুক শহরে। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওই সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন অধিকারী পুত্র।
সব মিলিয়ে প্রকৃতি কতটা সাত দেয় এবং যুব নেত্রী কি বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে অধিকারী খাস তালুকের ঘাসফুল কর্মীরা। শুভেন্দুগড়ে জনসভা করে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ‘কাঁথি চলো’র ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। সে সময় অবশ্য রাজনৈতিক সমীকরণ আলাদা ছিল। নির্বাচনের আগে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এই সভার রাজনৈতিক তাত্পর্য ছিল আলাদা।
প্রচারের ব্যানারে বক্তা হিসাবে নাম ছিল রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সৌগত রায় ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কো-অর্ডিনেটর বিধায়ক অখিল গিরির। সেখানে নাম ছিল না জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারীর ও সাংসদ দিব্যুন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু অধিকারীর দল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এই সভা ছিল। তৃণমূলের কাছে সেটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জের। তবে এই সভাও চ্যালেঞ্জের। এখানে শুভেন্দুর গড়ে সায়নী কীভাবে তাঁর ক্যারিশ্মা দেখায়, সেটার দেখার।