পূর্ব মেদিনীপুর: ডান দিকে দিয়ে যাচ্ছিল দিঘামুখী একটি বেসরকারি বাস আর বাঁদিকে ছিল একটা ডাম্পার। মাঝের ফাঁকে যাত্রীবোঝাই অটো! সরু প্যাসেজ দিয়ে বের হতে পারেনি অটোটা। রেষারেষির মাঝে পড়ে দুমড়ে মুছড়ে পিষ্ট হয়ে যায় অটোটি। প্রাথমিকভাবে অটোরই চার যাত্রীর মৃত্যুর খবর জানা যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যায়, পদ্মাবতী মহারা নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাতসকালে ভয়ঙ্কর ঘটনা ১১৬ বি জাতীয় সড়কে মারিসদা এলাকায়। জানা যাচ্ছে, পুলিশ চেকিংয়ের সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর জনরোষ আছড়ে পড়ে পুলিশের গাড়িতে। রাস্তাতেই পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে পুলিশের গাড়ি। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মারিসদা এলাকায়। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হন। পরিস্থিতি মোতায়েন করতে বাহিনী।
ঘটনাটা ঘটে মারিশদা দয়সাই স্ট্যান্ডের কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেখানে একটি পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। বড় বড় লরি, ডাম্পার দাঁড় করিয়ে তোলা তুলছিল বলে অভিযোগ। সেসময় একটি ডাম্পার পুলিশের গাড়ি দেখে না থেমে গতি আরও বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ডাম্পারটি ছিল কলকাতামুখী। উল্টোদিক থেকে দিঘার দিকে আসছিল একটি বাস। মাঝে স্থানীয় কয়েকজন মহিলা গ্রামবাসীদের নিয়ে যাচ্ছিল একটি অটো। প্রত্যেকেই স্থানীয় কারখানায় কাজ করেন। অটোটি পড়ে যায় বাস ও ডাম্পারের মাঝে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। অটোটি দুটো বড় গাড়ির মাঝে পড়ে একেবারে দুমড়ে- মুছড়ে যায়। অটোর চার যাত্রী পিষ্ট হয়ে যান। প্রাথমিকভাবে তিন জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পাশে ভিতরে অত্যন্ত খারাপভাবে আটকে থাকে আরেকজনের দেহ। তাঁকেও উদ্ধার করা হচ্ছে।
ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ক্ষোভ ছড়াতে থাকে দাবানলের মতো। আপাতত মারিশদা থানার পুলিশ পিছু হটেছে। কাঁথি থানায় খবর পৌঁছেছে। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা আসছেন ঘটনাস্থলে।
মারিশদা ১১৬ বি জাতীয় সড়কে পুরোপুরি অবরুদ্ধ। মাঝ রাস্তাতেই দাউ দাউ করে জ্বলছে পুলিশের গাড়ি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এভাবে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় লরি, ডাম্পার আটকে তোলা তোলে পুলিশ। পালাতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালা ধরা শরীর, একটা শব্দ আর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজের সময়! বাগুইআটির বধূর চরম পরিণতির সাক্ষী ছেলে