AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha: ভীষণ বড় বিপদের হাতছানি, উদ্বিগ্ন প্রশাসনও, দিঘার সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা

Digha: প্রায় বছর তিনেক এই শ্যাওলার উৎপত্তি ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। বারে বারে এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশাসনের তরফে ওল্ড দিঘার এক নম্বর এবং দু'নম্বর ঘাটে বিশেষ করে শ্যাওলার উপর হাঁটা ও স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

Digha: ভীষণ বড় বিপদের হাতছানি, উদ্বিগ্ন প্রশাসনও, দিঘার সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা
দিঘায় সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2024 | 10:16 AM

দিঘা:  দিঘার ঘাটে স্নানে বারণ। দিঘা সমুদ্র বাঁধাই ঘাটে নরম সবুজ শ্যাওলা। সাবধান না হলে পড়বেন আপনিও! বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। দিঘা সমুদ্র বিচে নরম সবুজ শ্যাওলা। সাবধান না হলে পড়বেন আপনিও! বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। ওল্ড দিঘার এই ঘাটে দেখলে মনে হবে যেন সবুজ কার্পেট পাতা। পর্যটকেরা তার ওপর দিয়ে সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে সেল্ফি তুলছেন দেদার। আর তাতেই বিপদ! হাঁটতে গেলেই নিমেশে পা পিচ্ছলে আছাড় খেতে হবে ।  আর আছাড় খেলেই সর্বনাশ। বিচের নীচের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে বড় বড় পাথরের চাঁইতে ধাক্কা খেতে হতে হবে।

বর্তমান দিঘার কিছু বিচে এই ধরনের শ্যাওলা হওয়ায় বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। এই শ্যাওলার উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র একবার সজোরে আছাড় খেয়েছিলেন। সেই ভিডিয়ো সর্বত্র ভাইরাল হয়েছিল।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশ কয়েকজন জোয়ারের সময় হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে গিয়েছে। বিশেষ করে ওল্ড দিঘার পাথরের ঢালাই করা ঘাট সহ বিচে এই ধরনের ঘন সবুজের শ্যাওলা দেখা দিচ্ছে। শুধু শ্যাওলা নয়, শ্যাওলার ভেতরে ব্লেডের মতো ধারালো ছোট ছোট ঝিনুকও রয়েছে। যা অত্যন্ত বিপদ আরও বাড়িয়ে।

প্রায় বছর তিনেক এই শ্যাওলার উৎপত্তি ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। বারে বারে এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশাসনের তরফে ওল্ড দিঘার এক নম্বর এবং দু’নম্বর ঘাটে বিশেষ করে শ্যাওলার উপর হাঁটা ও স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অভিযোগ উঠছে প্রশাসনের নজরদারির অভাবের, শ্যাওলা সময়মতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না।

যদিও বর্তমানে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেছে। সেইসব ঘাটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও নুলিয়াদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকেরা না বুঝে নেমে পড়ছেন ওই সমস্ত শ্যাওলার জায়গাগুলোতে। তা যেন আর না হয় তাও দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “শ্যাওলা এর আগেও ছিল। তবে এত পিচ্ছিল ঘন কার্পেটের মতো দেখতে শ্যাওলা দেখা যেত না। সব সময় জল থাকলে শ্যাওলা হবে তবে তা ৩৬৫ দিন জল জলের তলায় থাকলে এমন হওয়ার কথা। কেন হচ্ছে তা অবশ্য খতিয়ে দেখার বিষয় রয়েছে।”

যদিও মহকুমা শাসক তথা দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান (মহকুমা শাসক কাঁথি) শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন,  “এই শ্যাওলা বিষয়টি পর্যটকদের কাছে বিপজ্জনক। পরিষ্কার করা হয় তবে সব সময় পরিষ্কার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। যে কারণে ঘাট গুলিতে স্নান করা বা অবাধ চলাফেরা করা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পর্ষদের পক্ষে। সচেতনতার জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মজুত রাখা হচ্ছে নুলিয়াদের।”