Sujan Chakraborty : শিক্ষামন্ত্রীর চাকরিটাও বাম আমলে হয়েছিল, ওটাও যেন শ্বেতপত্রে থাকে : সুজন

Sujan Chakraborty : কাদের চাকরি হয়েছিল, কোন পর্যায়ে হয়েছিল স্বজনপোষণ, তা খুঁজে বের করাই হবে তৃণমূলের (TMC) লক্ষ্য। এদিন বড় ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Sujan Chakraborty : শিক্ষামন্ত্রীর চাকরিটাও বাম আমলে হয়েছিল, ওটাও যেন শ্বেতপত্রে থাকে : সুজন
ব্রাত্যকে আক্রমণ সুজনের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2023 | 9:06 PM

খেজুরি : নিয়োগ দুর্নীতিতে যেখানে ক্রমাগত অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের সেখানে নজর এবার বামেদের উপর। সিপিএম আমালে (CPIM Regime) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা খুঁজতে ময়দানে তৃণমূল (Trinamool Congress)। সম্প্রতি কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, সিপিএম (CPIM) জমানায় এমন কোনও হোলটাইমার ছিলেন না, যাঁর বাড়িতে কেউ সরকারি চাকরি করতেন না। সেই বক্তব্যকে সমর্থন একদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সিপিএমের হোলটাইমার নেতাদের স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ কেউ না কেউ স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন।’ তিনি সাফ জানান, কাজ চলছে শ্বেতপত্র তৈরির। তাতেই লেখা থাকবে বাম আমলে কাদের চাকরি হয়েছিল আধার পথে। এই ইস্যুতে বিতর্ক তৈরি হতেই শিক্ষামন্ত্রীকে এক হাত নিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। 

এদিন খেজুরিতে দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠকে যোগ দিয়ে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় সুজনকে। বলেন, “রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চাকরিটাও হয়েছিল বাম আমলে। সেটাও জেনো শ্বেতপত্রে থাকে।” শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি প্রকাশ করুন। পুরোটা প্রকাশ করুন। এই তালিকায় প্রকাশ এলে মানুষ বুঝতে পারবে বাম আমলে চাকরির নামে আসলে কতটা স্বচ্ছতা ছিল।”   

এদিকে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন বাম দুর্নীতি খুঁজে বের করতে দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ঘুরপথে চাকরি প্রাপকদের খুঁজে বের করতে চলবে ‘অভিযান’। বাম জমানায় চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর পদে কাঁরা ছিলেন, তাঁদের কোন কোন আত্মীয় সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন, এসব তথ্যই এনে দিতে হবে দলকে। দলের নীচুতলায় গিয়েছে এই নির্দেশ। এদিন আবার একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও।  বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পোস্টমর্টেম হবে। জানিয়েছেন মমতা। সে সময় কাদের চাকরি হয়েছিল, কোন পর্যায়ে হয়েছিল স্বজনপোষণ, তা খুঁজে বের করাই হবে তৃণমূলের লক্ষ্য। শুক্রবার তাঁর এ ঘোষণার পরেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।