Haldia: ‘আপনি কাউন্সিলর ছিলেন, অনেক কামিয়েছেন, এবার আমাদের দিন…’, মাস্ক পরে এসে ভয়ানক ঘটনা ঘটাল ওরা
Purba Medinipur: জানা যাচ্ছে, এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়ন্তী রায়দণ্ডপাটের বাড়িতে রাত তিনটে নাগাদ ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। ভোর রাতে ২ ঘণ্টা ধরে চলে 'অপারেশন'। তালা ভেঙে ঢোকে বাড়িতে। সমস্ত আলমারি থেকে বাড়িতে থাকা গয়না এবং টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
হলদিয়া: জনবহুল এলাকায় বাড়ি। তবে সেখানে যে এমন কাণ্ড ঘটবে কেউ ভাবেনি। জানা যাচ্ছে, রাত্রিবেলা এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময়েরই সুযোগ নিয়েছিল ওরা। পুরো বাড়ি ফাঁকা করে সব নিয়ে চম্পট দিল। শুধু তাই নয়, যেতে যেতে জলও খাইয়ে গেল বাড়ির মালিককে। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচক থানা এলাকায় বাসুদেবপুরের ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়ন্তী রায়দণ্ডপাটের বাড়িতে রাত তিনটে নাগাদ ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। ভোর রাতে ২ ঘণ্টা ধরে চলে ‘অপারেশন’। তালা ভেঙে ঢোকে বাড়িতে। সমস্ত আলমারি থেকে বাড়িতে থাকা গয়না এবং টাকা-পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় তারা। দুষ্কৃতী দলে দশ থেকে বারো জন ছিল। জয়ন্তীদেবী জানিয়েছেন, এদের প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক। হাতে অস্ত্রসস্ত্র। গোটা ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়ন্তী রায় দণ্ডপাট বলেন, “আমি আর আমার স্বামী আলাদা ঘরে ঘুমোই। ওরা এসে আমার স্বামীকে বলেন যে দরজা খুলতে। তারপর আমার স্বামী এসে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে দরজাটা খুলবে? আমি বুঝে দরজা খুলে দিই। তারপর ঢুকেই বলল মালকড়ি দিয়ে দিন। আপনি কাউন্সিলর ছিলেন। অনেক টাকা কামিয়েছেন। সব দিয়ে দিন। আমি বললাম আমার কাছে টাকা নেই। মাসের শেষে কোথায় পাব। ওদের মুখে মাস্ক ছিল। হাতে হাতুড়ি ছিল। ভয়ে আর কী করব। চাবি দিয়ে দিলাম।” অপরদিকে, বাড়ির কর্তা বিকাশ রঞ্জন রায় বলেন, “রাত্রি আড়াইটে সময় পাঁচ ছজন আছে। ওরা বলল কী আছে দিন। আমি বললাম কিছু নেই। এরপর বলল ম্যাডামের কাছে আছে। তারপর বলছে আঙ্কেল জল খাব। আমি দিলাম। ওরা জল খেল। তারপর চাবি চাইল।”