
পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘা জগন্নাথ ধামে মহাপ্রসাদ পাওয়া আরও সহজ! হোটেল কিংবা বসে খাওয়ার সব ক্ষেত্রেই সু ব্যবস্থা করল ট্রাস্ট। ভক্তদের জন্য নয়া উদ্যোগ দিঘা জগন্নাথ ধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে। এবার থেকে মন্দিরেই বসে সকাল, দুপুর ও রাতে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করা যাবে। এতদিন শুকনো প্রসাদ বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেও, এখন মন্দিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশে তিনবেলা মহাপ্রসাদ গ্রহণের সুযোগ মিলছে।
মধ্যাহ্নভোজের তালিকায় থাকছে পোলাও, খিঁচুড়ি, সাদা ভাত, বিভিন্ন সবজি ও মিষ্টান্ন সহ মোট আটটি পদ। এই ভোগ গ্রহণের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট নম্বরে (৯০৫৯০৫২৫৫০) আগে থেকে বুকিং করতে হবে। সকালের প্রাতঃরাশের জন্য আগের দিন রাতের মধ্যে বুকিং করতে হবে। আর সন্ধ্যার মহাপ্রসাদ পেতে বিকেলের মধ্যে বুকিং করতে হবে। এক সঙ্গে প্রায় ২০০ জন ভক্তের ভোগ গ্রহণের উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
নতুন বছরের আগে দিঘার এই নতুন পরিষেবা ধর্মপ্রাণ পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমন দাস। আর পাশাপাশি প্যারা তৈরির স্বয়ংক্রিয় মেসিনও বসেছে। তাতে ভোগ-প্রস্তুতিতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগল দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে। ভক্তদের জন্য তৈরি প্রসাদের পবিত্রতা এবং স্বাস্থ্যবিধি অক্ষুণ্ণ রাখতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দ্বারা ভোগের প্যারা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে মন্দির প্রশাসন।
প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এই স্বয়ংক্রিয় মেশিনটি প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার প্যারা তৈরি করতে সক্ষম। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল, প্যারা তৈরি থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় মানুষের হাতের স্পর্শ প্রায় লাগছেই না। মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমন দাস জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হল ভোগের পবিত্রতা রক্ষা ও ভক্তদের হাতে নির্মল ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রসাদ তুলে দেওয়া।