Kunal Ghosh: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিলে, ওদের সামনে শুয়ে থাকব’, বিদ্যুৎহীন গ্রামে আলো আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কুণাল

Kunal Ghosh: শুক্রবার হলদিয়ার সেই বিষ্ণুরামতক এলাকায় কুণাল ঘোষের একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা থেকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বুঝিয়ে দিলেন, বন্দরের আপত্তি থাকলেও ওই দুই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলবে।

Kunal Ghosh: 'কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিলে, ওদের সামনে শুয়ে থাকব', বিদ্যুৎহীন গ্রামে আলো আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কুণাল
কুণাল ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 8:29 PM

হলদিয়া: পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কিছুদিন আগে এমনই এক জনসংযোগের সময় তিনি খোঁজ পেয়েছিলেন দুটি এলাকার। হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সৌতনপুর। ওই দুই জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছায়নি। সেই পরিস্থিতি ঘুরে দেখে কুণাল বলেছিলেন, ‘দেখা যাক, কী করা যায়।’ কুণাল ঘোষের কাছে এই বিদ্যুৎহীন এলাকার খবর পৌঁছানোর পরই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কুণালের আশ্বাসবাণীর পর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের পৌঁছাতে দেরি হয়নি।

শুক্রবার হলদিয়ার সেই বিষ্ণুরামতক এলাকায় কুণাল ঘোষের একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা থেকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বুঝিয়ে দিলেন, বন্দরের আপত্তি থাকলেও ওই দুই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলবে। বললেন, “হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সৌতনপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। বন্দর কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কাজে বাধা দিতে এলে আমরাই ওদের সামনে শুয়ে থাকব। গ্রামবাসীকে আসতে হবে না। আর আইনি লড়াই হলে রাজ্য সরকার তার মোকাবিলা করবে।”

এত বছর পেরিয়ে এসেও ওই দুই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার ঘটনা ‘সভ্যতার লজ্জা’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। বললেন, “বন্দর ও শিল্পশহর হলদিয়ার এই দুই গ্রামে সিপিএম জমানায়ও বিদ্যুৎ আসেনি। শুভেন্দুরা যখন সামলাতেন, তখনও আসেনি।” কুণাল বলেন, “দুটো গ্রামে এত বাসিন্দা, অথচ আজকের দিনে বিদ্যুৎ নেই… এ তো হতে পারে না। এটা যেহেতু বন্দরের জমি। ফলে যুগে যুগে রাজনীতি হয়েছে। বন্দরের জমি, তাই করতে দেব না। আবার অতীতে যাঁরা এখানে ছিলেন তাঁরা ভোট চাওয়ার জন্য একটা কাগজ দেখিয়ে বলতেন এনওসি রেডি। ভোটের পর সব করে দেব। কেউ কিছু করেনি।”

কুণাল ঘোষ জানান, এই এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখার পর তিনি গোটা বিষয়টি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে জানিয়েছিলেন। সেই মতো অরূপ বিশ্বাসও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। বিদ্যুৎ দফতরও সক্রিয় হয়েছে। আবেদনপত্রও জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কুণালের দাবি, ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় প্রায় ৪৫০ আবেদন জমা পড়েছে।

গ্রামবাসীদের অনুরোধে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম। দুটো গ্রাম বিদ্যুৎহীন জানার পর পুরো বিষয়টা বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে জানাই। অরূপ সক্রিয়তার সঙ্গে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছনে। বিদ্যুৎ দপ্তর সক্রিয় হয়েছে। আবেদনপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৫০ মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আরও জমা নেওয়া চলছে।মানুষ বিদ্যুৎ চাইছেন।

বন্দরের জমি হওয়ার কারণে যে আইনি জটিলতা রয়েছে, সেই বিষয়েও এদিন মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “বন্দর একটা চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, তাদের জমিতে কেন বিদ্যুৎ দেওয়া হবে? কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রী যা লিগাল ওপিনিয়ন নিয়েছেন তাতে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রুলিং আছে যদি কোথাও ল্যান্ড ডিসপুট থাকে এবং মামলা থাকে সেটা তার মতো চলবে। কিন্তু জমিতে বসবাসকারীদের জল, বিদ্যুৎ পাওয়ার অধিকার আছে। ফলে যদি কেউ নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে আবেদন করেন। বিদ্যুৎ দফতর দেবে।”