NIA: কেন্দ্রীয় এজেন্সি ঢুকল গ্রামে, ভোটের মুখে মোড় ঘোরাবে ময়না?
Moyna: মোট ৪৭ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়ে। তবে পরিবার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিল। একই দাবি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। শনিবার এনআইএর একটি টিম বাকচার গোড়ামহল গ্রামে পৌঁছয়। লক্ষ্মীদেবীর বক্তব্য, এনআইএ তদন্ত করায় খুশি তিনি। সুবিচার পাবেন বলেও আশাবাদী বলে জানান।
পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় তদন্তে এনআইএ। শনিবার ময়নার বাকচায় গোড়ামহল গ্রামে যায় এনআইএর এক তদন্তকারী দল। ৪ জন সদস্য ছিলেন সেখানে। বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়্যার দেহ যে জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল, সেই জায়গা ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কথা বলেন নিহত বিজেপি বুথ সভাপতির স্ত্রী ও পরিবারের লোকের সঙ্গে।
গত ২০২৩ সালের মে মাসে খুন হন বাকচার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়্যা। তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়্যার স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইয়্যা অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ময়না থানায় ৩৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও পরে ৫ জন জামিন পান। তবে এই মামলায় নতুন করে নাম যুক্ত হয় আরও কয়েকজনের।
মোট ৪৭ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়ে। তবে পরিবার এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিল। একই দাবি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। শনিবার এনআইএর একটি টিম বাকচার গোড়ামহল গ্রামে পৌঁছয়। লক্ষ্মীদেবীর বক্তব্য, এনআইএ তদন্ত করায় খুশি তিনি। সুবিচার পাবেন বলেও আশাবাদী বলে জানান।
নিহতের বড় ছেলে প্রসেনজিৎ বলেন , “আমরা এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলাম, তা শুরু হয়েছে। তদন্ত নিয়ে কিছু বলব না। শুধু বলব মায়ের চোখের সামনে থেকে বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়ে যারা মারল, শাস্তি পাক।”