Digha Food Stalls: দিঘায় সমুদ্রের ধারে বসে সি-ফুড? বাসি-পচা খাবার দিচ্ছে না তো প্লেটে

Digha Food Stalls: দিঘায় ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রের ধারে বসে সি-ফুড খাওয়ারও ধুম লেগে যায়। ঝাঁ চকচকে সুন্দর সাজানো খাবারের দোকান বা রেস্তরাঁগুলিতে বসে যা খাচ্ছেন সব স্বাস্থ্যকর তো? খাওয়ার আগে সাবধান হোন। পরখ করে দেখে নিন কী খাচ্ছেন। কারণ, প্রচুর খাবারের দোকানে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাসি-পচা খাবার।

Digha Food Stalls: দিঘায় সমুদ্রের ধারে বসে সি-ফুড? বাসি-পচা খাবার দিচ্ছে না তো প্লেটে
দিঘায় খাবারের দোকান (প্রতীকী ছবি)Image Credit source: YouTube
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2024 | 12:00 AM

দিঘা: অল্প কয়েকদিনের ছুটিতে বাঙালির কাছে ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন হল ‘দি-পু-দা’। সৈকত সুন্দরী দিঘায় সারা বছর ধরে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। আর দিঘায় ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রের ধারে বসে সি-ফুড খাওয়ারও ধুম লেগে যায়। ঝাঁ চকচকে সুন্দর সাজানো খাবারের দোকান বা রেস্তরাঁগুলিতে বসে যা খাচ্ছেন সব স্বাস্থ্যকর তো? খাওয়ার আগে সাবধান হোন। পরখ করে দেখে নিন কী খাচ্ছেন। কারণ, প্রচুর খাবারের দোকানে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাসি-পচা খাবার। তাই খাওয়ানো হচ্ছে দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের। বাসি নষ্ট হয়ে যাওয়া মাংসের ঝোল থেকে শুরু করে মিষ্টিও পর্যন্ত বাসি। শুক্রবার অভিযানে নেমে এমন একগুচ্ছ খাবারের দোকান ও রেস্তরাঁকে নোটিস ধরিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর।

Food Safety Operation

দিঘায় খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযান

শুক্রবার সকাল থেকে নিউ দিঘায় বিভিন্ন খাবারের দোকান ও রেস্তরাঁয় হানা দেয় নন্দীগ্রাম জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের টিম। আর সেই অভিযানেই ধরা পড়ল এই অসাধু কারবার। টাটকা খাবারের নাম করে পর্যটকদের খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি-আধ পচা খাবার। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা এদিন নিজেরা দোকানে ঢুকে খাবারের গুণগত মান যাচাই করে দেখেন। কোনও দোকান থেকে বেরল বাসি মিষ্টি। কোথাও আবার ফ্রিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল বাসি হয়ে যাওয়া মাংসের ঝোল। সেই সব বের করে ডাস্টবিনে ফেলার ব্যবস্থা করেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। যে সব দোকানের খাবারে গুণগত মান খারাপ ধরা পড়ল, সব দোকানগুলিকে ধরানো হল আইনি নোটিস। আগামী দিনেও এভাবে চলতে থাকেই কড়া আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

শুক্রবার দিনভর খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এই অভিযান ঘিরে কার্যত শোরগোল পড়ে যায় সৈকতনগরীতে। বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, খাদ্য দফতরের নিয়মাবলী নিয়ে বহুবার দোকানদারদের সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু এসবের পরেও অনেক দোকানদার নিয়ম মানছিলেন না। অনেকেই আবার বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই কারণে তাঁদের নোটিস ধরানো হয়েছে।