TMC: ‘এক ডাকে প্রধান’! নতুন কর্মসূচি চালু বাংলার এই গ্রামে
TMC: পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই জনসংযোগে বাড়তি নজর দিয়েছেন প্রধান মশাই। শুরু করে দিয়েছেন নতুন 'প্রকল্প'। নিজেই নাম দিয়েছেন, 'এক ডাকে প্রধান'। বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেটও বিলি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানের ছবি, নাম, মোবাইল নম্বর সহ বিলি হচ্ছে লিফলেট।
কোলাঘাট: এবার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হল ‘এক ডাকে প্রধান’ কর্মসূচি। আর তা নিয়েই শোরগোল এলাকায়। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের সিদ্ধা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে নতুন পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন তৃণমূলের হামিদুল খান। পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই জনসংযোগে বাড়তি নজর দিয়েছেন প্রধান মশাই। শুরু করে দিয়েছেন নতুন ‘প্রকল্প’। নিজেই নাম দিয়েছেন, ‘এক ডাকে প্রধান’। বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেটও বিলি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানের ছবি, নাম, মোবাইল নম্বর সহ বিলি হচ্ছে লিফলেট।
পঞ্চায়েত প্রধান হামিদুল খান জানাচ্ছেন, “এক ডাকে প্রধান প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বুথে বুথে প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছি এবং একটি কাগজ দিচ্ছি। যাতে প্রধানের নাম ও ফোন নম্বর রয়েছে। যে কোনও সময়ে, যে কোনও প্রয়োজনে মানুষের আমাকে প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করব, মানুষের পাশে থাকার।”
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই জনসংযোগে আসরে নেমে পড়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। কখনও নিজেই কোদাল হাতে, মাথায় গামছা বেঁধে ঘাস কাটছেন। আবার কখনও বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সমস্যা, দাবি-দাওয়ার কথা শুনছেন। প্রধান বলছেন, গ্রামে অনেক বয়স্ক মানুষজন ও অনেক অসুস্থ মানুষ রয়েছেন, যাঁরা সবসময় পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেন না। তাঁদের জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় টোটো করে বিভিন্ন জনমুখী উদ্যোগের প্রচারও করা হচ্ছে।
যদিও এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি শিবির। পদ্ম শিবির এটিকে ‘সস্তার রাজনীতি’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করছে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি দেবব্রত পট্টনায়ক বলেন, “আসলে এগুলো সস্তায় প্রচার পাওয়ায় একটা উপায়। আগে কাজ করুক, তার পর বলুক। কাজ করতে দেখলে মানুষই বলবে, প্রচারে নয়।”