
দিঘা: মাঝরাতে দিঘার হোটেলে মদের আসর। তা নিয়েই ঝামেলা হোটেল মালিকের সঙ্গে। পর্যটকদের হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে হোটেল মালিক। পুলিশ গ্রেফতার করল তিন পর্যটককে। তোলা হল আদালতে। জামিনের আবেদন করলেও তা বাতিল করে জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৈকত নগরীতে। জেল বন্দি হুগলির শ্রীরামপুরের উমাশঙ্কর দাস, উত্তর চব্বিশ পরগনার নোয়াপাড়ার নবীন চৌধুরী, বিহারের সিদ্ধার্থপুর কলোনির অঙ্কিত কুমার নামে তিন পর্যটক। তিনজনের বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে হোটেলে মদের আসর বসিয়েছিলেন তিন যুবক। মত্ত অবস্থাতেই বেপরোয়া উল্লাসে মেতে ওঠেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের ছোঁড়া একটি প্লেট এসে লাগে যে হোটেলে তাঁরা ছিলেন সেই হোটেলের মালিক প্রদীপ ঘোষের (৫৭) পায়ে। প্রদীপবাবুর বাড়ি কলকাতায়। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তিন পর্যটকই। আক্রমণ করেন মালিকের উপরেই। বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
হোটেলের কর্মীরাই প্রদীপবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে খবর যায় পুলিশে। রাতেই পুলিশ এসে তিনজকে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনজনেরই জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।