AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Medinipur: নির্বিঘ্নে ঘুমোতে গিয়েছিলেন, হঠাৎ ভোর রাতে বিভীষিকা! এমনটা হবে দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি মুস্তফাপুরের বেরা পরিবার

Patashpur: ভোর রাতে বাড়িতে হানা ডাকাত দলের। একেবারে ফিল্মি কায়দায়। কারও মুখ চেনার উপায় নেই। সবার মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। বেরা পরিবারের বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই বাড়ির সদস্যদের সবার হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাত দল। এরপর চলে বেধড়ক মারধর। এমনকী ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

Purba Medinipur: নির্বিঘ্নে ঘুমোতে গিয়েছিলেন, হঠাৎ ভোর রাতে বিভীষিকা! এমনটা হবে দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি মুস্তফাপুরের বেরা পরিবার
ভোর রাতে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2024 | 10:47 PM

পটাশপুর: তখন প্রায় ভোর রাত। বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। চারিদিক শান্ত। নিঝুম। আর ঠিক তখনই এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুরের মুস্তফাপুর গ্রামে বেরা পরিবার। ভোর রাতে বাড়িতে হানা ডাকাত দলের। একেবারে ফিল্মি কায়দায়। কারও মুখ চেনার উপায় নেই। সবার মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। বেরা পরিবারের বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই বাড়ির সদস্যদের সবার হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাত দল। এরপর চলে বেধড়ক মারধর। এমনকী ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

বাড়িতে এক গর্ভবতী মহিলা ছিলেন। তাঁকেও রেয়াত করেনি ডাকাত দল। অভিযোগ, ওই গর্ভবতী মহিলাকেও মারধর করা হয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলে দেদার লুঠপাট। প্রায় ঘণ্টা দুই-তিনেক ধরে চলে ডাকাত দলের তাণ্ডব। বাড়ি থেকে মূল্যবান যা কিছু নিতে পেরেছে, সব নিয়ে পালিয়েছে ডাকাতরা। পরিবারের অভিযোগ, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও প্রায় ১৫ লাখ টাকার সোনার গয়না এবং অন্যান্য সামগ্রী লুঠে নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাত দল।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে মুস্তফাপুরের ওই বাড়িতে পৌঁছায় পটাশপুর থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। কারা এই কাণ্ড ঘটাল, ডাকাত দল কোন দিকে পালিয়েছে, সেই সবের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বাড়ির মধ্যে ঢুকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীরা। রাতের ঘুম ওড়ার জোগাড় হয়েছে বেরা পরিবারের প্রতিবেশীদের।