ত্রিপল টাঙানো ঘুপচিতে টর্চের আলোয় কাজ সারছিলেন! সব পোল খুলে গেল তৃণমূল নেতার…
Purbo Medinipur: জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বিধানসভার হলুদবাড়ি অঞ্চলে। অভিযোগ, সোমবার খেজুরি বিধানসভার হলুদবাড়ি অঞ্চলে 'দুয়ারে সরকার'-এর ক্যাম্প হওয়ার কথা।
পূর্ব মেদিনীপুর: অন্ধকারে ঘুপচির মধ্যে একটি টেবিল নিয়ে বসে প্রধান, মাথার ওপর ত্রিপল খাটানো। একটা ছোট্ট এলইডি ব্লাব আর তাকে সঙ্গত দেওয়া জন্য টর্চের আলো! ব্যস, এখানেই চলছে কারবার। ৫০০ টাকায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি! আরও এক দুর্নীতির ছবি ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির হলদিবাড়ি অঞ্চলে। ৫০০ টাকায় লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakhsmi Bhandar) প্রকল্পের ফর্ম বিলির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বিধানসভার হলুদবাড়ি অঞ্চলে। অভিযোগ, সোমবার খেজুরি বিধানসভার হলুদবাড়ি অঞ্চলে ‘দুয়ারে সরকার’-এর ক্যাম্প হওয়ার কথা। কিন্তু রবিবার রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে টাকার বিনিময়ে দুয়ারে সরকারের ফর্ম বিক্রি করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনায় প্রধান তাপস প্রামাণিক ও খেজুরি থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় ভুঁইঞার নাম উঠে আসছে।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। খেজুরি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, “আমরা গোপন সূত্রে খবর পাই রাতে অঞ্চল প্রধান তাপস প্রামাণিক এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও বেশ কয়েক জন সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে অঞ্চল অফিসে ৫০০ টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি করছেন।”
খবর পাওয়া মাত্রই তিনি গোটা বিষয়টি বিডিওকে জানান। বিধায়ক বলেন. “আমি চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রকম নির্দেশ দিয়েছেন, ক্যাম্পে থেকে দুয়ারে সরকারের ফর্ম নিতে হবে। সেই মতো যদি করা হয় তাহলে খুব ভালো হবে। না হলে বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যেরকম ফল দেখিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার থেকে আরও খারাপ রেজাল্ট হবে।”
অপরদিকে তৃণমূল এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “বিজেপির কাজ হচ্ছে বিরোধিতা করা। আমাদের সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য বিজেপি এইসব রটাচ্ছে। এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না। মানুষ এর যোগ্য জবাব দিয়েছে গত বিধানসভায়।”
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে এখনই। কোথাও ফর্ম বিলিতে দুর্নীতি, কোথাওবা গরিব মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলছে ফর্ম পূরণের কাজ। এক্ষেত্রে একাধিক স্থানীয়স্তরের তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসছে। এর আগে উত্তরে এই দুর্নীতিতে সপরিবারে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা। শুরু হতে না হতেই হোঁচট খাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প। আরও পড়ুন: ভয়ানক-নারী বিদ্বেষী-খুনের কারবারি? ‘সবটাই মিথ্যা’! শিক্ষকতা করে ফিরে তালিবানদের প্রশংসায় নিমতার তমাল